সামপ্রতিক সময়ে ঢাকায় পরিবহণে হাফ ভাড়ার দাবিতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন জোরদার হয়েছে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বাস চালক, হেলপারের সাথে শিক্ষার্থীদের বচসা হয়েছে। এক ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীরা সড়কে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এবং আল্টিমেটাম দিয়েছে। যদিও এরই মধ্যে হুমকিদাতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ার পর গণপরিবহণে ভাড়াও বেড়েছে। একারণে এমনিতে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে চালক-হেলপারের তর্কবিতর্ক এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
স্বাধীনতার আগে থেকেই এ দেশে বাসে হাফ ভাড়া চালু রয়েছে। আইনগতভাবে হাফ ভাড়ার বিষয়টির কোনো ভিত্তি না থাকলেও ঢাকার গণপরিবহনে এটি একটি চিরায়ত প্রথা। যদিও বাস মালিকেরা সেই প্রথা মানতে চান না। বাসের বাইরে বা ভেতরে লিখে রাখেন ‘হাফ পাস নেই’। আমি মনে করি, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কাজে গমনে ‘হাফ পাস’ ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়াটা সমীচীন হবে। পাশাপাশি চালক-হেলপারের জীবনজীবিকাও যেন স্বাভাবিক থাকে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নিতে হবে। দৈনিক না করে মাসিক বেতনের ভিত্তিতে গণপরিবহণে চালক/হেলপার নিয়োগ করা যায়। সেটা হলে, ভাড়া আদায়ে তর্ক, বিতর্ক কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যাবে বলে মনে করেন অনেকে। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ও ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে ‘হাফ পাস’ ভাড়ার বিষয়ে গ্রহনযোগ্য একটি সমাধান খুঁজে বের করতে সরকার ও পরিবহণ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
লেখক: শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক