গণতন্ত্র ও মানবতার প্রতীক

নিজামুল ইসলাম সরফী | সোমবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪ তম জন্মদিন আজ। এখন চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে অগ্রগতির অনেক উদাহরণ রয়েছে। কারও কাছে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও মানবতার প্রতীক। যিনি মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পরিচয়ের বাইরে তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, মমতাময়ী মা, বোন কিংবা দাদি বা নানি।ঠিক এই বিষয়টিকে ফুটিয়ে তুলে নির্মিত হয়েছে– ‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান মনে করেন, শেখ হাসিনা জন্মগতভাবে একজন নেতা। তিনি বলেন, “সত্যিকারের কঠিন সময় পার করে এসেছেন তিনি, কিন্তু নিজের ব্যক্তিত্ব আর নেতৃত্বগুণ দিয়ে তিনি সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে এসেছেন।” “রাষ্ট্র পরিচালনা এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ আমার কাছে যতটা না মূল্যবান তার চাইতে এটা একটা বড় সুযোগ জনকল্যাণের এবং জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের,” বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে আমরা আজকের অবস্থানে এসেছি এবং কেউই এই গতিকে রুখতে পারবে না, ইনশাল্লাহ।”

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে খুন হওয়ার পর ছয় বছর দেশে ফিরতে পারেননি শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আশ্রয় দিয়েছিলেন তাঁকে। ১৯৮০ সালে লন্ডন থেকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন শেখ হাসিনা। পরের বছর তাঁর অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ তাঁকে দলীয় প্রধান নির্বাচিত করে। ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সাতবার তাঁকে গৃহবন্দী করে স্বৈরাচার এরশাদ সরকার। ২০০৭ সালে আবারও সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কারারুদ্ধ করে শেখ হাসিনাকে। দেশে ফেরার পর ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার ওপর ১৯টি সশস্ত্র হামলা হয়। সবশেষ ২০০৪ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে তাঁর সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে নিহত ও আহত হন বহু নেতাকর্মী। কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া (১৯৫২২০০৯) ছিলেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী। তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় (৪৯) বাংলাদেশ সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ও তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (৪৭) একজন অটিজম বিশেষজ্ঞ। ৭৩ বছর পার করা শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টাইম ম্যাগাজিনের জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। এর আগে তিনি ফোর্বস, সিএনএন, ফরচুনসহ একাধিক জরিপে বিশ্ব, এশিয়া এবং মুসলিম জাহানের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় ছিলেন। ৭৪ তম জন্মদিনে দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছাঅভিবাদন ও তাঁর দীর্ঘায়ু জীবন কামনা করছি ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধজন্মদিনে শুভেচ্ছা