আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ সময় কিছু রাজনৈতিক নেতা বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন। কিন্তু দেশবাসী জানে বিএনপি মানেই গণতন্ত্র, বিএনপি মানেই জনগণের অধিকার।
তিনি গতকাল বিকেলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। বিশেষ আলোচক ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য নসরুল কদির। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন।
মীর হেলাল বলেন, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর হলো জাতীয় ঐক্য ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির পুনর্জাগরণের দিন। এই দিনে শহীদ জিয়াউর রহমান দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনা ও জনতার মিলিত ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। আন্দোলন–সংগ্রামে ছাত্রদলের ভূমিকার প্রশংসা করে মীর হেলাল বলেন, ছাত্রদল সবসময় গণতন্ত্র ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
নাজিমুর রহমান বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে ছাত্রদলকে আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ছাত্রদলকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে এবং সঠিক সংবাদ সাধারণ মানুষের মাঝে উপস্থাপন করতে হবে। ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ভিত আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে। ক্যাম্পাসকে সাধারণ ছাত্র–ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ করার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে।
নসরুল কদির বলেন, বাংলাদেশের যে কোনো ক্রান্তিকালে ছাত্রদল সবার আগে এগিয়ে আসে। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান, স্বৈরাচার হাসিনা পতন আন্দোলনে ছাত্রদল মূখ্য ভূমিকা পালন করে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। আগামীতেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্রদলকে সার্বক্ষণিক সজাগ থাকতে হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ চৌধুরী লিমন, যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম তানভীর, সামিয়াত আমিন জিসান, জিএম সালাহ উদ্দিন কাদের আসাদ, আরিফুর রহমান, জহির উদ্দিন বাবর, শহিদুল ইসলাম সুমন, সাব্বির আহমেদ, খন্দকার রাজিবুল হক বাপ্পি, মোহাম্মাদ আনাছ, নুর জাফর নাইম রাহুল, ফখরুল ইসলাম শাহীন, সদস্য শামসুদ্দীন শামসু, আবু কাউসার, আল মামুন সাদ্দাম, দেলোয়ার হোসেন শিশির ও আব্বাস উদ্দিন।












