চট্টগ্রাম নগরীতে সুপার শপে পচে যাওয়া সবজি, ফলমূল কেটে পুনরায় প্যাকেটজাত ও বাসি মাছ-মাংসে নতুন তারিখের লেভেল লাগিয়ে বিক্রি, রেস্টুরেন্টে নোংরা পরিবেশে ফ্রিজে বাসি খাবার সংরক্ষণ করার অভিযোগে একটি বাস্কেট সুপারশপকে ১ লাখ ৩০ হাজার জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১ আক্টোবর) দুপুরে নগরের খুলশী থানাধীন জাকির হোসেন রোডে এ অভিযান পরিচালনা করেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী। সাথে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন সিএমপি খুলশী থানা পুলিশের সদস্যরা।
অভিযানে বাস্কেট সুপার শপে ৩১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ ও ব্যবহারের দায়ে অপারেশন ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমানকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুপার শপটিতে পচে যাওয়া সবজি, ফলমূল কেটে পুনরায় প্যাকেটজাত করা ও বাসি মাছ মাংসে বর্তমান দিনের ট্যাগ লাগিয়ে প্রতারণামূলকভাবে বিক্রির প্রমাণ মিলেছে। এতে ভোক্তার মারাত্মক আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির আশংকা থাকায় আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অপরাধ আমলে গ্রহণ করা হয়।
অভিযোগের সত্যতা থাকায় এবং আসামির অপরাধ উদঘাটিত হওয়ায় মোঃ মিজানুর রহমানকে যথাক্রমে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর আওতায় ১০ হাজার টাকা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আওতায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে ৩১ কেজি পলিথিন ব্যাগ জব্দ করে পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে স্বপ্ন সুপারশপে অভিযান চালানো হয়। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, মাছ, মাংস, ফলমূল ইত্যাদির দাম ও মান যাচাই করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তবে স্বপ্ন সুপার শপের ভিতরে অবস্থিত ইমপেরিয়াল ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে ফ্রিজে বাসি খাবার সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের দায়ে এর স্বত্বাধিকারী নিজাম উদ্দীনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আওতায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী জানান, ভোক্তার মারাত্মক আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির আশংকা থাকায় আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অপরাধ আমলে গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ইমপেরিয়াল ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে ফ্রিজে বাসি খাবার সংরক্ষণ করা হয়েছে। এসব অভিযোগে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের অভিযান অব্যাহত থাকবে।