এক মাস পর খুলেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। দপ্তরগুলো খুললেও ক্লাস–পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়নি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল একদম কম। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কোনো প্রশাসন না থাকায় কার্যত অচল রয়েছে ক্যাম্পাস। বন্ধ রয়েছে আবাসিক হল ও শাটল ট্রেন। এদিকে আজ সোমবার থেকে বন্ধের সময়সূচিতে চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন। এ বিষয়ে রেলওয়েকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ। জানা যায়, ১৭ জুলাই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। চবি ৫২২তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মতে ১৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিস থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ–উপাচার্য (প্রশাসন), উপ–উপাচার্য (একাডেমিক), প্রক্টরিয়াল বডি, সকল হলের প্রভোস্ট ও ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন।
গত বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (আজ) থেকে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। তাছাড়া আবাসিক হলে নতুনভাবে সিট বরাদ্দ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সেশনজট নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে সৃষ্টি হয়েছে দুশ্চিন্তা। এ বিষয়ে চবি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রিয়াদ উদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটি ও আন্দোলন মিলিয়ে প্রায় তিনমাস ধরে আমাদের কোনো পড়াশোনা নেই। রোববার থেকে অন্যান্য ক্যাম্পাস খুলে দিলেও আমরা পড়েছি বিপাকে। এমন অচলাবস্থা আরও দীর্ঘ হলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এমনটা মেনে নেওয়া যায় না। এবার আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার কে এম নুর আহমদ বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যত কোন প্রশাসন না থাকায় খুলবে না বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমির কার্যক্রম শুরু করার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেটা স্থগিত করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার আরও বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন আসা পর্যন্ত এর একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে না। নতুন প্রশাসন নিয়োগের পরেই তারা সিদ্ধান্ত নিবে কখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে।
কবে নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসন নিয়োগ হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো তথ্য আসেনি, আমরা কিছুই জানি না।