এনসিএল টি–টোয়েন্টির ফাইনালে যেতে পারলো না খুলনা বিভাগ। রোববার সিলেটে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনাকে ৩৮ রানে হারায় ঢাকা মেট্রো। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করে মেট্রো। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে স্রেফ ৮১ রানে অলআউট হয়ে গেছে খুলনা। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ফাইনালে রংপুরের মুখোমুখি হবে ঢাকা মেট্রো। অল্প পুঁজি নিয়েও মেট্রোর জয়ের কারিগর স্পিনাররা। পাওয়ার প্লেতে চমৎকার বোলিং করেন আলিস, রকিবুলরা। পরে খুলনার লেজ মুড়িয়ে দেন এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন। তিন ওভারে একটি মেইডেনসহ ১৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান রকিবুল। আলিসের চার ওভারে খরচ মাত্র ৫ রান, পান ১টি উইকেট। আর ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন মোসাদ্দেক। রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারে রকিবুলের বলে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন আজিজুল হাকিম তামিম ও ইমরুল কায়েস। পরের ওভারে মোহাম্মদ মিঠুন রান আউট হলে বাড়ে খুলনার বিপদ। ষষ্ঠ ওভারে এনামুল হকও ফিরলে আরও চাপে পড়ে যায় তারা। পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন নুরুল হাসান সোহান। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ২ চার ও ১ ছক্কায় দলের সর্বোচ্চ ২২ রান করে ফেরেন খুলনা অধিনায়ক। এরপর আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি। ম্যাচের প্রথমভাগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মেট্রোর উদ্বোধনী জুটিতে ২৭ বলে ৪০ রান যোগ করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও ইমরানউজ্জামান। এই জুটি ভাঙার পর গতি পায়নি মেট্রোর ইনিংস। একপ্রান্ত ধরে রেখে ১৮ ওভার পর্যন্ত খেলেন নাঈম। ছুটি কাটিয়ে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন মেট্রো অধিনায়ক। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ বলে ৫৭ রান করেন নাঈম। ম্যাচে আর কেউ ত্রিশও ছুঁতে পারেননি। শেষ দিকে শহিদুল ইসলাম ও রকিবুল একটি করে ছক্কা মারলে একশ ছাড়ায় মেট্রো। সেটাই পরে খুলনাকে রুখে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হয়। খুলনার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন শেখ পারভেজ হোসেন জীবন, মাসুম খান টুটুল ও মেহেদী হাসান রানা।