খুলনাকে হারিয়ে প্লে অফে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ১১:০০ পূর্বাহ্ণ

বিপিএলের এবারের আসরে প্লে অফে খেলবে কোন চারটি দল তা নিয়ে বেশ লড়াই চলছিল। যদিও রংপুর এবং কুমিল্লা আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল শেষ চার। বাকি দুটি পদের জন্য লড়াই চলছিল তিন দলের। যেখানে চট্টগ্রাম এবং খুলনার চাইতে এগিয়ে ছিল বরিশাল। শেষ পর্যন্ত খুলনাকে পেছনে ফেলে প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। লীগ পর্বের শেষ ম্যাচে সেই খুলনা টাইগার্সকে হারিয়েছে ৬৫ রনের বড় ব্যবধানে। তানজিদ হাসান তামিমের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির উপর ভর করে রানের পাহাড়ে চড়েছিল চট্টগ্রাম। এরপর শুভাগত হোম, বিলাল খানদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে হার মেনে নেয় খুলনা। ফলে তাদের আর শেষ চারে যাওয়া হলোনা। অথচ টানা চার ম্যাচে জিতে কি দারুন শুরুটাই না করেছিল খুলনা টাইগার্স। কিন্তু সময় গড়াতেই পথ হারিয়ে ফেলে এনামুল হক বিজয়ের দল। নিজেদের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি খেলে প্লে অফে জায়গা করে নিয়ে ঢাকা যাচ্ছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১২ ম্যাচ শেষে চট্টগ্রামের পয়েন্ট ৭ জয়ে ১৪। আর ১১ ম্যাচে খুলনার পয়েন্ট ৫ জয়ে ১০। বরিশালের পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ১২। তাদের আর একটি ম্যাচ বাকি। এখন সে ম্যাচে যদি বরিশাল জিতে তাহলে তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৪। তখন রান রেটের ভিত্তিতে নির্ধারন হবে কোন দল থাকবে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে। যদিও গতকালের জয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স উঠে এসেছে তৃতীয় স্থানে। যেহেতু তাদের পয়েন্ট ১৪। এখন বরিশাল শেষ ম্যাচে জিতলে তখন পয়েন্ট তালিকার অবস্থান পরিবর্তন হয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায়। প্রথমবারের মত বিপিএল খেলতে আসা মোহাম্মদ ওয়াসিম ফিরেন ১ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে তানজিদ তামিম এবং সৈকত আলি মিলে যোগ করেন ৫৬ রান। ১৮ রান করা সৈকত আলিকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। তৃতীয় উইকেটে দারুন এক জুটি গড়ে তোলেন তামিম এবং টম ব্রুস। ৬১ বলে ১১০ রান যোগ করে দলের ইনিংসকে বড় করার পথ সুগম করেন দুজন। তানজিদ তামিম তুলে নেন বিপিএলে তার প্রথম সেঞ্চুরি। এবারের বিপিএলে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা তামিম সেঞ্চুরি তুলে নেন ৬৮ বলে। মেরেছেন ৭টি চার এবং ৭টি ছক্কা। তামিমের আগ্রাসী ব্যাটিং এর সামনে এক রকম দর্শক হয়েই ছিলেন ব্রুস। শেষ পর্যণ্ত তামিমকে থামিয়েছেন পারনেল । ৬৫ বলে ৮টি চার এবং ৮টি ছক্কার সাহায্যে ১১৬ রান করে ফিরেন এই ওপেনার। আর এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন তামিম। ১১ মাচে তামিমের রান ৩৮২। সপ্তম বাংলাদেশী ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে সেঞ্চুরি করলেন তানজিদ তামিম। তার চাইতে বড় ইনিংস খেলেছেন দুজন। তারা হলেন তামিম ১৪১ এবং সাব্বির ১২২। টম ব্রুস ২৩ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫ বলে ১০ রান করেন রোমারিও শেফার্ড। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামের ইনিংস গিয়ে দাড়ায় ১৯২ রানে।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক এনামুল এবং শাই হোপ মিলে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। ৫৪ রানের এই জুটিটা ভাঙ্গেন শহীদুল ইসলাম। ২৪ বলে ৩৫ রান করে ফিরেন এনামুল। এই জুটি ভাঙার পর যেন পথ হারিয়ে ফেলে খুলনার ব্যাটাররা। এভিন লুইসকে ফেরান দিপু রান আউট করে। শুভাগতর হাতে ফিলকি ক্যাচ দিয়ে যখন ফিরেন শাই হোপ তখনই শেষ হয়ে যায় খুলনার সব আশা। এই ক্যারিবীয়ান ফিরেছেন ২১ বলে ৩১ রান করে। এরপর খুলনার ব্যাটারদের উপর চেপে বসা চট্টগ্রামের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এর মুখে পড়ে কেবলই আসা যাওয়া করেছে খুলনার ব্যাটাররা। জেসন হোল্ডারের ১৮ রান ছাড়া বাকি কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। ১২৭ রানে থামে খুলনা টাইগার্স। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার উঠে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে। তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন ইস্পাহানী গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা সালমান ইস্পাহানী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিপিডিএল রুবিকন সিটি কর্পোরেট স্পোর্টস কার্নিভালের প্রথম রাউন্ড সম্পন্ন
পরবর্তী নিবন্ধঅবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ