খুলনাকে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে কুমিল্লা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানী আমের জামালের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর লিটন দাশের ব্যাটিংয়ের সুবাদে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খুলার বিপক্ষে কুমিল্লার জয়টি ৩৪ রানের। এই জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে কুমিল্লা। খুলনার সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট। কিন্তু রান রেটে পিছিয়ে থাকা তাদের অবস্থান চতুর্থ স্থানে। অপরদিকে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট করে রংপুর এবং চট্টগ্রামের। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকায় এক নম্বর স্থানটি রংপুর রাইডার্সের।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লার শুরুটা ছিল ধীল গতির। প্রথম ৩ ওভারে রান আসে ৯। তবে আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন লিটন দাশ। যদিও পাকিস্তানী ক্রিকেটার নাওয়াজের বলে দুই ছক্কার পরের বলেই উইকেটের পেছনে লিটনের ক্যাচ ছাড়েন খুলনা অধিনায়ক এনামুল হক। পরের ওভারে লিটন একটুর জন্য রক্ষা পান রান আউট থেকে। ৬৯ রানে ভাঙ্গে কুমিল্লার উদ্বোধনী জুটি। ৩০ বলে ৪৫ রান করা লিটনকে বোল্ড ওভারের শেষ বলে আরেক ওপেনার রিজওয়ানকেও ফেরান নাসুম। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ২১ রান। উইল জ্যাকসএবং তাওহিদ হৃদয় দুজনই রান তুলতে থাকে একেবারেই ধার গতিতে। ২৯ রান যোগ করেন দুজন। ২৭ বল খেলে ২২ রানে বিদায় নেন জ্যাকস। এরপর খুশদিল শাহ ৪ রানেই রান আউট হয়ে যান। হৃদয় ফিরেন ১৭ বলে ১৬ রান করে। শেষ দিকে জাকের আলির ৮ বলে ১৮ এবং মাহিদুল ইসলামের ৫ বলে ১০ রানের সুবাদে ১৪৯ রানে থামে খুলনার ইনিংস। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুলনার শুরুটা ছিল দারুণ। দুই ওভারেই ১৯ রান তুলে নেন দুই ওপেনার। এনামুল ফিরলেন ১২ বলে সেই ১৯ রানের সবগুলো করেই। তিনে নামা আফিফ হোসেন ৯ বলে ৫ রান করে আউট হন জ্যাকসের অফ স্পিনে। আসরে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে আকবর আলি ফিরেন ৫ রান করে। আর পারভেজ হোসেন ইমন বিদায় নেন শূন্যতে। তবে একপ্রান্তে দাড়িয়ে থাকা আরেক ওপেনার এভিন লুইস এই কঠিন সময়েও দলকে টানতে পারেননি। আউট হয়েছেন ১৪ বলে ১০ রান করে। ৪৯ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা খুলনার সম্ভাবনা একরকম সেখানেই শেষ। পরের ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা করেছেন ব্যবধান কমাতে। কিছুটা লড়াই করে ২৪ বলে ২১ করেন নাহিদুল ইসলাম। একটি করে চার ও ছক্কায় ১৩ রানে ফেরেন ফাহিম আশরাফ। শেষ দিকে ৩ ছক্কায় ১২ বলে ২৩ করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। আর তাকে কেবল পরাজয়ের ব্যবধানটা খানিকটা কমেছে মাত্র। এই ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে চমক দেখিয়েছেন কুমিল্লার পাকিস্তানী বোলার আমের জামাল। ২৩ রানে ৫ উইকেট নেন জামাল। টিটোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আগে কখনও ৪ উইকেটও ছিল না পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডারের। ম্যান অব দা ম্যাচ ও হয়েছেন আমের জামাল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমনজুরুল ইসলাম খান তজু স্মৃতি দাবা টুর্নামেন্ট সম্পন্ন
পরবর্তী নিবন্ধসাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলের ফাইনালে আজ ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি