দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে অভিযোগ করার এক সপ্তাহের মাথায় নগরের উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের বাদামতলী মোড় সংলগ্ন কেরানি বাড়ি সড়কের নালার উপর থেকে দখলদার উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। গতকাল এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। একইদিন পূর্ব বাকলিয়া বীর্জা খালের শাখা কৃষি খাল দখল করে গড়ে তোলা সাতটি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। একই খালের উপর থাকা স্থানীয় মান্নান সাওদাগরের বাড়ির সীমানা দেয়াল ভেঙে দেয়া হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী। অভিযানে অংশ নেন সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত দুদকের গণশুনানিতে মো. সেলিম চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, মহানগর দায়রা জজ ৫ম আদালত এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে মারুফা বেগম নেলীকে আগ্রাবাদ আবদুল ছত্তার কেরানির বাড়ির সামনে নালার মাটি, আবর্জনা ও ঢালাই প্রতিবন্ধকতা উচ্ছেদ কার্যμম করার জন্য আদেশ দেয়। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে তার দপ্তরে ফাইল আটকে রাখেন। ফলে আবদুল ছত্তার কেরানীর বাড়ি ও আশে পাশে সবসময় ময়লা পানি জমে থাকে।
এ অভিযোগটি জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন সিটি মেয়র। এর প্রেক্ষিতে গতকাল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নালার উপর গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ করে নালাটি পানি চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হয় বলে দৈনিক আজাদীকে জানান সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।
এদিকে পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের ওয়াইয়াজার পাড়া এলাকায় অবৈধভাবে খালের জায়গা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করায় এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সেখানে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে খালের জায়গা থেকে প্রায় ২০টি কাঁচা-পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, কৃষি খালের উপর থেকে সাতটি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে বজল নামে একজনের চারটি দোকান রয়েছে। তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।












