অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার অমানবিক আচরণ করছে বলে দাবি করেছেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ হয়ে বেগম খালেদা জিয়া আজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তাঁকে সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ করতে হবে। যদি বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কিছু হয় সারা দেশে আগুন জ্বলবে এবং তার দায়–দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।
বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে গতকাল বিকালে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় চত্বরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির গণ অনশন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালিত হয়। কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন গোলাম আকবর খোন্দকারকে পানি পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মোহাম্মদ ফয়জী ও ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট এম এ তাহের, কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, আজম খান, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, ডা. খুরশিদ জামিল, অধ্যাপক ইউনুচ চৌধুরী ও মোহাম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান।
নগর বিএনপি : নুর আহমদ সড়কের টাইলস মার্কেটের সামনে চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির অনশন কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল ১০টায় কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর ২টায় নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ নেতাকর্মীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার।
সভাপতির বক্তব্যে শাহাদাত বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে। উপমহাদেশের এই জনপ্রিয় নেত্রীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন নোংরা রাজনীতি করছে। তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির বিরোধিতা করছে। আমরা সরকারকে আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা করার সুযোগ দেওয়া হোক।
মো. কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, এনামুল হক এনাম, জাহিদুল করিম কচি, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, মো. শাহনওয়াজ, এড. এনামুল হক ও ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম।