খাবার বিক্রেতা থেকে বিশ্ব সেরা পেসার

স্পোর্টস ডেস্ক | বুধবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তান দলের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টে অন্যতম সেরা অস্ত্র তিনি। দুর্দান্ত গতির কারণে হারিস রউফের উপর আলাদা নজর প্রতিপক্ষ দলগুলোরও। নিজের দিনে যে তিনি একাই দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারেন যেকোনো দলকে। সেই হারিস রউফ একসময় নিজের খরচ জোগাতে বাজারে বিক্রি করতেন খাবার। এক তথ্যচিত্রে নিজেই এমনটা জানিয়েছেন পাকিস্তানের এই তারকা পেসার। ওই তথ্যচিত্রে রউফ বলেছেন, ম্যাট্রিকের পরে আমি বাজারে গিয়ে খাবার বিক্রি করতাম খরচ জোগানোর জন্য। রোববার এই কাজটা করতাম। তাতে আমার পড়াশোনা আর একাডেমির খরচটা উঠে আসতো। এরপর রউফ জানিয়েছেন, কিভাবে টেপ টেনিস বল ক্রিকেট খেলে তিনি অর্থ উপার্জন করেছেন। টেপ টেনিস বল ক্রিকেট পাকিস্তানে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। ক্যাম্বিস বলের উপরে ইলেক্ট্রিকাল টেপ জড়িয়ে এটা খেলা হয়। রউফ বলেন আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখন আমার বাবা সেরকম কিছু উপার্জন করতেন না। ফলে তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না বেতন দেওয়া। আমিও সে রকম উপার্জন করছিলাম না। তার পরে আমি টেপ টেনিস বল ক্রিকেট খেলা শুরু করি। এই টেপ বল ক্রিকেটই রউফের বাঁচার রাস্তা হয়ে দাঁড়ায়। ২৯ বছর বয়সী পাকিস্তানি পেসার বলেন টেপ বল ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে আর সমস্যা হয়নি। আমার হাতে অর্থ চলে আসে। পাকিস্তানের অলিতেগলিতে এই খেলা জনপ্রিয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট না খেলা খেলোয়াড়রাও এই টেপ বল খেলে অনেক অর্থই উপার্জন করতে পারেন। রউফ জানান, পাকিস্তানে যারা পেশাদার টেপ বল ক্রিকেট খেলে, তারা দু’ থেকে আড়াই লাখ রোজগার করতে পারে। আমিও ওই রকমই রোজগার করতাম। পুরো টাকাটাই মায়ের হাতে তুলে দিতাম। বাবাকে কখনও বলিনি, এত রোজগার করছি। ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রউফ বলেন আমার বাবার তিন ভাই ছিল। কাকাদের বিয়ের পরে বাবা তার ঘরটা ছেড়ে দেন। এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে, আমরা একটা সময় রান্নাঘরে ঘুমাতাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেমিফাইনালে পাকিস্তান
পরবর্তী নিবন্ধএমসিসি’র ক্রিকেট কমিটির নতুন চেয়ারম্যান সাঙ্গাকারা