খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে উঠানামা করছে পেঁয়াজের দাম। সকালে এক দাম তো বিকেল গড়াতেই বিক্রি হচ্ছে আরেক দামে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের স্থল বন্দরগুলোতে গতকাল বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল, তাই পেঁয়াজের দাম দিনে বেড়েছে ৬ টাকা পর্যন্ত। তবে ভোক্তারা বলছেন, বর্তমানে পেঁয়াজ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। যেসব পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের দোকান ও গুদামে রয়েছে, সেগুলো কিন্তু আগেই এসেছে। সকালের সাথে বিকেলের পেঁয়াজের দামের পার্থক্য কারসাজি ছাড়া কিছুই নয়।
নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল সকালে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা দরে। বিকেল গড়াতেই সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৬ টাকায়। এছাড়া মিয়ানমারের পেঁয়াজ সকালে বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকায়, বিকেলে বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকা দরে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, খাতুনগঞ্জে বর্তমানে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় আজ (গতকাল) পেঁয়াজ কম এসেছে। পেঁয়াজের বাজার সকালের দিকে কম ছিল। তবে বিকেলে বাড়ার কারণ হচ্ছে স্থল বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকা দরে। মূলত এর প্রভাবে বাজার দাম বেড়েছে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, বর্তমানে সব ধরণের ভোগ্যপণ্যের বাজার উর্ধ্বমুখী। একেক ব্যবসায়ী একেক অজুহাতে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন। তেল-ডাল ও চিনির বাজারের পর এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে পেঁয়াজের বাজার। বর্তমানে ব্যবসায়ীদের দোকান গুদামে যেসব পণ্য রয়েছে, সেগুলো তো আগেই কেনা হয়েছে। তাহলে সকালে একদাম, আবার বিকেলে আরেকদামে বিক্রির তো প্রশ্ন আসে না। আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার আসলে পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণেই থাকে। তারা যখন যা চায়, তাই কিন্তু হয়। এখন প্রশাসনের তেমন ভূমিকা থাকে না। যদিও প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে, কিন্তু নিয়মিত অভিযানের অভাবে ব্যবসায়ীরাও সেই চিরচেনা রূপে ফিরে যান।