অনলাইন বিড়ম্বনায় চট্টগ্রামে হাজার হাজার ভূমি মালিক সরকারের খাজনা পরিশোধ করতে পারছেন না। খাজনা আদায়ের সার্ভার কাজ না করায় পুরো দেশেই মূলতঃ খাজনা আদায়ে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, একসময় মানুষ নিজ নিজ এলাকার তহশীল অফিসে গিয়ে খাজনা পরিশোধ করে রশিদ সংগ্রহ করতো। কিন্তু গত বছর থেকে অনলাইনে খাজনা আদায় শুরু হয়। চলতি বছরের শুরু থেকে পুরোদমে এই কার্যক্রম চলছিল। অনলাইনে সরকারের নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটে গিয়ে সার্ভারে প্রবেশ করে খাজনার টাকা প্রদান করে রশিদ সংগ্রহ করা যায়। তবে এক্ষেত্রে আগে তহশীল অফিস থেকে গিয়ে জমির কাগজপত্র দেখিয়ে খাজনার পরিমাণ সম্পর্কে ভূমি মালিকদের নিশ্চিত হতে হয়। তহশীল অফিস অনুমোদন দেয়ার পর ভূমি মালিক নিজের ইচ্ছেমতো স্থান থেকে খাজনা পরিশোধ করতে পারেন। বিষয়টিতে যথেষ্ট স্বচ্ছতা নিশ্চিত হলেও জন্মনিবন্ধনের মতো এক্ষেত্রেও সার্ভার একটি বড় ধরনের সংকট তৈরি করে রেখেছে। ঘরে বসে বা নিজে নিজে খাজনা পরিশোধের সিস্টেম থাকলেও অধিকাংশ মানুষই তা পারেন না। বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে মানুষকে খাজনা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে সার্ভার নষ্ট থাকায় হাজার হাজার ভূমি মালিক খাজনা পরিশোধ করতে পারছেন না। তারা তহশীল অফিসে গিয়ে খাজনার হিসেব নিকেশ সংগ্রহ করে দোকানে দোকানে ঘুরছেন।
সূত্র বলেছে, সরকার সার্ভারের উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সার্ভার উন্নয়নের জন্য সারাদেশে খাজনা আদায় বন্ধ রাখার নোটিশ দেয়া হয়। কথা ছিল ১ ডিসেম্বরের পরে ভূমি মালিকেরা খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত সার্ভার ঠিক হয়নি। কখন ঠিক হবে সেটিও অনিশ্চিত।
গতকাল একাধিক ভূমি মালিক দৈনিক আজাদীকে বলেছেন, অনলাইনে খাজনা পরিশোধ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। তহশীল অফিসে গিয়ে টাকা পয়সার হিসেব নিয়ে আসলেও মানুষ খাজনা পরিশোধ করতে পারছে না।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ফরিদা খানমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়েছে। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে সার্ভার ঠিক হয়ে যাবে। এরপর খাজনা পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।
