খাগড়াছড়ির সব বেইলি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ, ঘটছে দুর্ঘটনা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | বুধবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়ি হয়ে রাঙামাটির সাজেকসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে ব্যবহৃত বেইলি ব্রিজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুগুলো বেহাল দশার কারণে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে পৌঁছাতে হয় গন্তব্যে। পাঁচ টনের বেশি মালামাল নিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ হলেও তোয়াক্কা করছেন না চালকেরা। দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি এড়াতে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। খাগড়াছড়িতে ছোটবড় আটটি বেইলি ব্রিজ রয়েছে। সবগুলোই বর্তমানে ঝুঁকির্পূণ হয়ে পড়েছে।

দীঘিনালালংগদু সড়কের চৌমুহনী এলাকায় সমপ্রতি অতিরিক্ত কাঠবোঝাই করে ট্রাক চলাচলের কারণে খুলে পড়ে একটি বেইলি ব্রিজের পাটাতন। এতে রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে খাগড়াছড়িসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়। প্রায় দুই দিন সড়কে ভারী পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকে।

স্থানীয় মিন্টু চৌধুরী ও তোফায়েল মিয়া জানান, ১৯৯০ সালে নির্মিত সেতুটিতে ঝুঁকি এড়াতে পাঁচ টনের বেশি ভারী যান চলাচল নিষেধ থাকলেও মানা হচ্ছে না। এতে সেতুর ক্ষতির পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। দীঘিনালালংগদু সড়ক, দীঘিনালাসাজেক ও পানছড়ি সড়কে এমন আরও কয়েকটি বেইলি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই দ্রুত পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন বলেন, বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ সেতু রয়েছে। প্রায় সময় ভেঙে যায়। এসব ব্রিজের পরিবর্তে পাকা সেতু হলে চলাচল সুবিধাজনক হবে।

রাঙামাটি সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার বলছেন, খাগড়াছড়িতে পাঁচটি বেইলি ব্রিজ রয়েছে। বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য প্রতিবছরই প্রকল্প দেওয়া হয়। এরমধ্যে একটি ব্রিজের দরপত্র শেষ হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সবগুলো বেইলি ব্রিজ পাকা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবছরে ৭ ফুট করে নামছে পানির স্তর
পরবর্তী নিবন্ধসভায় হট্টগোল ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার