খাগড়াছড়িতে লক্ষাধিক পর্যটক সমাগমের আশা

ঈদ ও বৈসাবির ছুটি

সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি | মঙ্গলবার , ৯ এপ্রিল, ২০২৪ at ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ

ঈদ, বাংলা নববর্ষ ও পাহাড়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি (বৈসু, সাংগ্রাই ও বিজু) কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় খাগড়াছড়িতে প্রচুর পর্যটক সমাগম হবে আশা করছে ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে সাজেক ও খাগড়াছড়ির হোটেল কটেজের অধিকাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে।

পাহাড়, অরণ্য, ঝিরিঝরনা ও উপত্যকা নিয়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। সারা বছরই আলুটিলা সুড়ঙ্গ, ঝুলন্ত ব্রিজ, তারেং, রিছাং ঝরনাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পর্যটকে মুখরিত থাকে। যাতায়াত সুবিধার কারণে খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণে যায় পর্যটকরা। তবে আসন্ন ঈদ, বাংলা নববর্ষ ও বৈসাবি উৎসব কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় পর্যটক সমাগম কয়েকগুণ হবে। পর্যটকদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। খাগড়াছড়ি আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্রকিরণ ত্রিপুরা ও কোকানাথ ত্রিপুরা বলেন, এবার ঈদের ছুটিতে প্রচুর পর্যটক আসবে। আমাদের এখানে সারা বছরই পর্যটক আসে তবে এবার একসাথে বাংলা নববর্ষ ও বৈসাবি উৎসব হওয়ায় পর্যটক সমাগম বাড়বে। আমাদের পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছি। নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।

ঈদ ও নববর্ষকে সামনে রেখে অতিথি বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন হোটেল মোটেল মালিকেরা। ইতোমধ্যে জেলার বেশির ভাগ হোটেলের ৬০ শতাংশের বেশি রুম বুকিং হয়ে গেছে। খাগড়াছড়ির এক আবাসিক হোটেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রান্ত ত্রিপুরা বলেন, এবার ঈদের ছুটি ও নববর্ষ একই সময়ে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি দেখার জন্য পর্যটকরা আসবেন। ইতোমধ্যে হোটেলের বেশ কিছু কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। সামনের দিনগুলোতে বুকিং আরো বাড়বে।

অন্য এক হোটেলের ব্যবস্থাপক আব্দুর রশীদ সাগর জানান, আশা করছি এবার প্রচুর পর্যটক আসবে। ইতোমধ্যে হোটেলের অনেক রুম বুকিং হয়ে গেছে। টানা সতের তারিখ পর্যন্ত পর্যটকের চাপ থাকবে।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সাবক্ষণিক টহল দেয়া হবে। ১৩ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সাজেকে সব কটেজ শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। একই সময়ের মধ্যে খাগড়াছড়ির আবাসিক হোটেলগুলো ৬০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। এবার টানা ছুটিতে এক লক্ষাধিক পর্যটক সাজেক ভ্রমণ করবে। সব পর্যটন কেন্দ্রে আমাদের সকাল বিকেলে টহল থাকবে। সাজেকে আমাদের একটা টিম ১১ থেকে ১৭ এপ্রিল দায়িত্ব পালন করবে। দুর্গম এলাকায় কোনো ট্যুরিস্ট বিপদে পরলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা সমস্যা সমাধান করব। বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটে আমাদের ফোন নাম্বার দেয়া আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএখন সেই রোহিঙ্গাদেরই সহায়তা চাইছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ কাল