সকালে এক কাপ চা হাতে নিয়ে পত্রিকা পড়ার দৃশ্যটা আগে প্রায় পরিবারে দেখা যেত। বেশিরভাগ বাসার দরজার নিচে ফাঁক দিয়ে হকার পত্রিকা দিয়ে চলে যায়। এরপর যার হাতে সেটা পরে অন্যরা তা নিয়ে কাড়াকাড়ি করে। কেউ খেলার পাতা, কেউ বিনোদন, কেউ রাজনীতি, কেউ বা গল্প কবিতার পাতা নিয়ে পড়া শুরু করে দিত। পত্রিকা পড়ার মজাটাই ছিল আলাদা। বাস, ট্রেন, লঞ্চ বা পার্কে হকারদের থেকে পত্রিকা নিয়ে পড়ার দৃশ্য দেখে কত ভালো লাগতো। এমনকি ঘরের বয়ঃজ্যেষ্ঠদের পত্রিকা পড়ে ছোটরা শুনাত। কিন্তু বর্তমানে তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। স্মার্টফোন আসার পর সবাই খবর অনলাইনে পড়ে নেয়। চাকরির খবর, বিনোদন,গল্প সব মোবাইলে পাওয়া যায়। তবে মোবাইলে আঙ্গুল দিয়ে টেনে টেনে পড়ার চেয়ে কাগজের পড়ার মজাটাই আলাদা। এটা যারা বোঝে তারা স্মার্টফোন থাকা সত্ত্বেও এখনো পত্রিকা পড়ে। বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। সবকিছু প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায়। আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে এই প্রযুক্তি। ঘরে বসেই আমরা সব তথ্য পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু পত্রিকার আনাচে কানাচে যে খবর ছড়িয়ে থাকে তা আমরা সব স্মার্টফোনে পাই না বা তেমন পড়া হয় না। স্মার্টফোনে আমরা যে খবর পড়ি তা নিজেদের মধ্যে থাকে। কারো সাথে আলোচনা খুবই কম হয়। কিন্তু পত্রিকা থাকলে ঘরের কম বেশি সবাই সেটা পড়ে।সবার সাথে আলোচনা ও হয়। সবাই মিলে পত্রিকা পড়ার মধ্যে পরিবারের বন্ধনটা ও দৃঢ় হয়। এই প্রযুক্তির যুগে আমরা সবাই পরিবারে একসাথে থাকলেও কেমন যেন দূরে দূরে। নিজেকে নিয়েই থাকে সবাই। তাই সব খবর জানার জন্য, পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করার জন্য আমাদের সবার উচিত পত্রিকা পড়া। বেশি বেশি দেশ-বিদেশের সহ আরো বিভিন্ন রকমের খবর জানতে হলে আসুন সবাই পত্রিকা পড়ি।