দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এই উৎসবকে ঘিরে মাস দুয়েক আগে থেকে চলে ব্যাপক প্রস্তুতি। ‘ও মন রমজানের রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’ বাংলাদেশে ঈদ উৎসব এখন শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বহুমাত্রিক জাতীয় সামাজিক উৎসবও বটে। এর মধ্যে আছে সামাজিক–সাংস্কৃতিক–অর্থনৈতিক–বিনোদনমূলক নান্দনিক নানা বিষয়। তাই ঈদ এখন এত জমজমাট। উৎসব মানেই তো আনন্দদায়ক। ঈদের জন্য একবছর সবাই অপেক্ষায় থাকে। ঈদে চাই নতুন পোশাক, নতুন জুতা–স্যান্ডেল শুধু নয়, গয়নাও চাই নতুন। ঘরেও নতুনত্ব আনার চেষ্টা করা হয়। ঈদের প্রস্তুতি চলে মাস দুয়েক আগে থেকে। নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা কেনাকোটার সময়টাকে কমিয়ে দিয়েছে। এই মার্কেট, ওই শপিং মল – ঘুরতে ঘুরতে দিন চলে যায়। এই চিন্তাভাবনা থেকে সব পণ্যের সমাহার এক ছাদের নীচে আনার পরিকল্পনা করেন এমঅ্যান্ড বিজনেস কমিউনিকেশনের সিইও মানজুমা মোর্শেদ। অনেক চড়াই–উৎরাই পেরিয়ে ২০১৮ সাল থেকে তাঁর স্বপ্ন আলোর মুখ দেখে। সেই যে শুরু আর পেছনে তাকাতে হয়নি। দুই ঈদকে ঘিরে তিনি বছরে চারটা প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে শুরু হয়েছে প্রি রামাদান এঙিবিশন। বর্ণাঢ্য এই প্রদর্শনী প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। প্রদর্শনীতে ঢাকা–চট্টগ্রাম ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্বনামধন্য ৮২ জন ফ্যাশন ডিজাইনার তাদের নতুন পণ্যের পসরা নিয়ে সাজিয়েছেন স্টল। এই প্রদর্শনী আজ রবিবারও সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রদর্শনীর পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে রয়েছে –ব্রডকাস্ট পার্টনার সার্কেল এবং মিডিয়া পার্টনার দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। আগামী ১৩–১৫ মার্চ বসবে ঈদ ফেস্টিভ্যাল।
এমঅ্যান্ডএম বিজনেস কমিউনিকেশনের সিইও মানজুমা মোর্শেদ আরো জানান, ঈদ মানে নানা আয়োজন। আর কর্মব্যস্ত জীবনে ঈদের কেনাকাটা করা অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জিং। নারী উদ্যোক্তাদের এক প্লাটফর্মে এনে তাদের পণ্য বিপণন এই প্রদর্শনী সহায়ক ভূমিকা রাখবে। সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, কে–ড্রোব, রিয়েল ডায়মন্ড, সাফিস বাই সানা ইয়াসির, ভিভা ফুটওয়্যার, স্প্রিং লাইফস্টাইল, দুবাই ডিলস, হায়া বাই সানজানা, মাফিন, উইম্যান’স নিডস, ঘুমাও, মেগামার্ট, সেফিয়ার, ড্রিমওয়েভ বাই সিমি, হোয়াই সো সানজিদা, তানাশ, ডেজল বাই সোনিয়া, অপ্সরা ফ্যাশন হাউজ, নেমালি, জাহবিন, আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও, সাভাটা, শের ক্লথিং, আনাক, জে–নিথস মেকআপ, সাফ হেভেন বাই নিকোশিয়া, কিনার প্রভৃতি স্টলগুলোতে ক্রেতার বেশ ভিড় দেখা যায়। আজ সমাপনী দিবসে ক্রেতা–দর্শানার্থীদের ভিড় বাড়বে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।