ক্রীড়াঙ্গনে মডেল হতে চায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র

ক্রিকেটারদের সব পাওনা পরিশোধ করে পরের মৌসুমের প্রস্তুতি শুরু

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১১ জুন, ২০২৪ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বেশির ক্লাবের বিপক্ষে লিগ কিংবা টুর্নামেন্ট শেষে খেলোয়াড়দের পাওনা নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। হাতে গোনা কয়েকটি ক্লাব শতভাগ খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ করে। তবে সেদিক থেকে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ ক্লাব অন্তত খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধে সতর্ক থাকে। তবে লিগ কিংবা টুর্নামেন্ট শেষে সুন্দর একটি আয়োজনের মাধ্যমে দেনা পাওনা পরিশোধের পর পরের মৌসুমের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করার নজির খুব একটা নেই। তবে সে ধারাটা শুরু করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র চট্টগ্রাম। বিশেষ করে তরুণদের হাতে দায়িত্ব আসার পর থেকে ক্লাবটির সবকিছুতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। সদ্য সমাপ্ত সিজেকেএস প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র দলের ক্রিকেটারদের শতভাগ পাওনা পরিশোধ করেছে। গত রোববার রাতে চিটাগাং ক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র চট্টগ্রাম ক্রিকেট কমিটির এক সভা পিএইচ পি ফ্যামিলির পরিচালক ও ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আকতার পারভেজ হিরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের কার্যকরী পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, স্টেডিয়াম প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল হাসেম, মো: মসিউর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর, ক্রিকেট কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, ম্যানেজার ইমতিয়াজ চৌধুরী রকি, সহ সম্পাদক এহসানুল হক চৌধুরী ইমাদ, ট্রেজারার চৌধুরী মাহতাব উদ্দিন হুমায়ুন, পরিচালক মোঃ সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ জে অনিক, কাজী মফিজুর রহমান রাশেদ, . মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল, ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন, জাবেদ সিদ্দিকী সানভী, সৌমেন দত্ত রনি, তৌফিক ফরহাদ নুর, কাজী জয়নাল, প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ রহমান তানিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সজিব, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, জেলার সদস্য সচিব মো: কামরুল হুদা পাভেল সহ দলের কোচ এবং খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ক্লাবের কর্মকর্তা এবং ক্রিকেট কমিটির কর্মকর্তারা বলেন ক্রিকেটাররা আমাদের দলের জন্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলেছে। হয়তো আমরা প্রত্যাশিত সাফল্য পাইনি। এখন আমরা ক্রিকেটারদের দীর্ঘ লিগে খেলার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের নিয়ে আমরা পরের মৌসুমের জন্য পরিকল্পনা করছি। যেকোন ইভেন্টে খেলোয়াড়দের রুটি রুজির জায়গা হচ্ছে খেলাধুলা। কাজেই তাদের পাওনা পরিশোধ করা ক্লাবগুলোর নৈতিক দায়িত্ব। আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের ক্রিকেটারদের হাসি মুখে বিদায় দিতে। পুরো লিগে যেভাবে আনন্দ আর হাসি খুশিতে ছিলাম শেষটাও সেভাবে করার চেষ্টা করেছি আমরা। পরের মৌসুমের জন্য পরিকল্পনাও সাজাতে শুরু করেছে ক্লাবটি। সভায় জানানো হয় আগামী মৌসুমেও শক্তিশালী দল নিয়ে মাঠে নামবে মুক্তিযোদ্ধা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের বেঁচে থাকার নাকি আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ !
পরবর্তী নিবন্ধসিয়ামের যে কার্যক্রমে অবাক হয়েছেন দীঘি