ক্রিকেটারদের সামাজিক মাধ্যম এড়িয়ে চলার পরামর্শ সিমন্সের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ at ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ

সমর্থকদের নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ক্রিকেটাদের উচ্চকিত হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স। তার মতে ক্রিকেট সমর্থক ও অনুসারীদের অধিকার আছে সামাজিকমাধ্যমে যা ইচ্ছা বলার বা লেখার। তবে কোচ এটিও উল্লেখ করছেন, বর্ণবাদমূলক কোনো কিছু গ্রহণযোগ্য নয়। সমপ্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের হেনস্থা হওয়ার ঘটনা নিয়ে এই মন্তব্য করেন সিমন্স। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টিটোয়েন্টি সিরিজে ৩০ ব্যবধানে জিতলেও ওয়ানডে সিরিজে একই ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ। দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় কিছু সমর্থকের প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়েন মোহাম্মদ নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদসহ কয়েকজন ক্রিকেটার। সেই ঘটনা নিয়ে পরে সামাজিক মাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করায় আবার ক্রিকেট অনুসারীদের তোপের মুখে পড়েন নাঈম। তার সেই পোস্টে ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন পড়েছে শুক্রবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। সেখানে হাসির রিঅ্যাক্ট আছে ১ লাখ ৩ হাজারের বেশি। মন্তব্যগুলোর প্রায় সবকটিতেই নাঈমকে একরকম ধুয়ে দিয়েছেন অনুসারীরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগের দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয় সিমন্সের সংবাদ সম্মেলনে । তিনি বলেণ প্রথমত বলতে চাই, সামাজিক মাধ্যমে কী হচ্ছে, এসব নিয়ে ক্রিকেটারদের কিছু করার আছে বলে আমি একদমই মনে করি না। ব্যক্তি হিসেবে সবারই অধিকার আছে সামাজিক মাধ্যমে যা ইচ্ছা বলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও জাতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আমার ক্রিকেটারদের অবশ্যই উচিত নয় এসবের জবাব দেওয়া। তবে যা কিছু বলার অধিকার মানে যে বর্ণবাদী মন্তব্য বা আচরণ তা কিন্তু নয়। সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে জাকের আলির প্রতি বর্ণবাদমূলক নানা মন্তব্যের উদাহরণ তুলে ধরলেন কোচ। তবে একটি কথা বলতে চাই, ক্রিকেটারদের প্রতি কোনো ধরনের বর্ণবিদ্বেষী সুর কোনোভাবেই থাকা ভালো কিছু নয়। আপনি যেখান থেকেই আসেন না কেন আই ডোন্ট কেয়ার। কিন্তু জাকের আলির প্রতি যা হয়েছে সেসবে আমি ক্ষুব্ধ। ভালো কিছু নয় এসব। তবে আপনাকে বলতে পারি আমি চাই না আমার ক্রিকেটাররা সামাজিক মাধ্যমে কোনো ধরনের জবাব দেবে। সংবাদ সম্মেলন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিমন্সকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, জাকের আলির প্রতি বর্ণবাদমূলক কথার শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশ দলের এখনকার কোচিং স্টাফের এক সদস্যের একটি মন্তব্যের জের ধরেই। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে, জাকের তখনও জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। বিপিএল চলার সময় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ বলেছিলেন, জাকেরের কথাটা সবসময় আপনারা ভুলে যান। কেউ কিছু জিজ্ঞেসও করেন না। ছেলেটার হয়তো চেহারা একটু কালো, এই কারণে আমার মনে হয় বোর্ডও তাকে দেখে না ঠিকমতো। সালাউদ্দিনের সেই মন্তব্য তখন আলোচনাসমালোচনার ঝড় তুলেছিল। এবার সিমন্সকে সেটি মনে করিয়ে দেওয়ার পর টাইগার কোচ বললেন আমি জানি সে এরকম বলেছিল। কিন্তু তার মানে কি এই যে সে বলেছে বলেই লোকে জাকেরকে নিয়ে কটূকথা বলবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
পরবর্তী নিবন্ধওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে মিরপুরে কালো উইকেট