ক্যারিয়ারে সেরা বোলিংয়ে সাকিব মোস্তাফিজদের পাশে মোসাদ্দেক

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ১ আগস্ট, ২০২২ at ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বোলারদের সুযোগ থাকে সবচাইতে কম। কারন মাত্র চার ওভার বল করার সুযোগ পান বোলাররা। তবে এই চার ওভারেও অনেকেই ঠিকই উইকেট তুলের নেন। তবে ৪ কিংবা ৫ উইকেট নেওয়াটা বেশ কঠিন। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫ উইকেট নেওয়ার বেশ কিছু নজির রয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের তিন বোলার ছিলেন সংযুক্ত। এবার যোগ হলো আরেক নাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব ছিল এতদিন ইলিয়াস সানি, মোস্তাফিজুর রহমান এবং সাকিব আল হাসানের । এবার চতুর্থ নামটি যোগ হলো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। যদিও মোসাদ্দেক নিয়মিত বোলার নয়।

অকেশনাল বোলার হিসেবে কাজ করে থাকেন। তবে গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের প্রথম ওভারটা মোসাদ্দেকের হাতেই তুলে দিলেন অধিনায়ক সোহান। আর মোসাদ্দেক প্রথম বলেই তুলে নিলেন উইকেট। এরপর একে একে তুলে নিলেন ৫ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারের সেরা। শুধু সেরা নয় এর আগে মোসাদ্দেকের ক্যারিয়ার সেরা ছিল ২১ রানে ২ উইকেট। এই ম্যাচের আগে ক্যারিয়ারে ১৯ ম্যাচে মোট উইকেট নিয়েছিলেন মোসাদ্দেক সাতটি। আর গতকাল এক ম্যাচেই নিলেন পাঁচটি। আগের ম্যাচেও একেবারে খারাপ বোলিং করেননি মোসাদ্দেক। প্রথম ম্যাচে ১টি উইকেট নিয়েছিলেন। আর রান দিয়েছিলেন সবচেয়ে কম ২১। তবে দলকে হারতে হয়েছে। বাকি বোলাররা অকাতরে রান দেয়ার কারণে জিম্বাবুয়ে পেয়েছিল ৩ উইকেটে ২০৫ রানের পুঁজি। ১৭ রানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।

গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচেও টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। আগের ম্যাচের সবচেয়ে কম রান দেয়া মোসাদ্দেকের হাতেই প্রথম বল তুলে দিলেন অধিনায়ক। আস্থার প্রতিদানটা অক্ষরে অক্ষরে দিলেন বাংলাদেশের এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। প্রথম বলেই নিলেন উইকেট। নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন রেগিস চাকাভা। অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল। কাট করতে গিয়ে নিজেই কট হয়ে গেলেন চাকাভা। প্রথম ওভারের শেষ বলে আবারও উইকেট নিলেন মোসাদ্দেক। এবার ওয়েসলি মাধভিরেকে ফেরালেন তিনি। আগের ম্যাচে ৬৭ রান করে এই মাধভিরেই বাংলাদেশের পরাজয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। পয়েন্টে মেহেদী হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মাধভিরে। দলের তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে নিলেন তৃতীয় উইকেট।

এবার ফেরালেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে। রিভার্সসুইপ করতে গিয়ে লেগ স্লিপে লিটন দাশের হাতে ক্যাচ দিলে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। ইনিংসের পঞ্চম এবং নিজের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে মোসাদ্দেক ফেরালেন শন উইলিয়ামসকে। ৭ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি মোসাদ্দেকের হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়েই। ৭ম ওভারে মিল্টন সুম্বাকে ফিরিয়ে পূরণ করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট। সীমানার কাছে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দেন মিল্টন সুম্বা। আর সে নিজের চার ওভারের কোটা পুরন করেন মোসাদ্দেক। যেখানে তিনি ২০ রান দিয়ে তুলের নেন পাঁচ উইকেট। ইলিংাছ সানি, সাকিব কিংবা মোস্তাফিজ তিনজনই দলের জন্য সেরা বোলার হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। কিন্তু মোসাদ্দেক দলের প্রয়োজনে বদলী হিসেবে বল করতে আসেন। যাতে দু-এক ওভারের কোটা পুরন করে দেওয়া যায়। সে মোসাদ্দেকই এখন বনে গেলেন নায়ক। যদিও শুরু থেকেই মোসাদ্দেকের আগুন ঝরানো বোলিং স্বত্ত্বেও ১৩৫ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। বলতে গেলে দলের সবচাইতে অভিজ্ঞ ব্যাটার সিকান্দার রাজা টেনে নিয়ে গেছেন দলকে। ৫৩ বলে ৬২ রান করেছেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকমনওয়েলথ গেমসে ব্যর্থ সাঁতারুরা
পরবর্তী নিবন্ধসিজেকেএস আরচ্যারী লিগ কাল শুরু