ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

২০১৮ সালে দেশের বাইরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টিটোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে সেবার শেষ দুটি ম্যাচ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। বলতে গেলে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে টিটোয়েন্টি সিরিজ জয় তাই এটিই প্রথম। শুধু তাই নয় নিজেদের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০২ রানে অল আউট করেছে বাংলাদেশ। যা টাইগারদের বিপক্ষে ক্যারিবীয়দের সর্বনিম্ন দলীয় ইনিংস। টাইগার বোলারদের দুর্দান্ত দাপটে প্রথমবারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ তাও এক ম্যাচ হাতে রেখে। এই ম্যাচ জেতার লক্ষ্যটা আগেই নির্ধারণ করে রেখেছিল বাংলাদেশ। কারণ এই ম্যাচ জিতলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে। তার পাশাপাশি আরেকটা লড়াই ছিল বাংলাদেশের। তা হচ্ছে টিটোয়েন্টিতে সবচাইতে বেশি ম্যাচ হারের তালিকায় ১০৭ ম্যাচে হার নিয়ে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল এক কাতারে। এই লজ্জার রেকর্ড থেকে বেরিয়ে আসারও একটা প্রতিযোগিতা ছিল। সে লড়াইয়েও জয়ী বাংলাদেশ।

সেন্ট কিটসে ২৭ রানের দুর্দান্ত জয় যেন অনেক রেকর্ডের সাক্ষী হয়ে থাকল বাংলাদেশের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজ মানে টিটোয়েন্টির সব ফেরিওয়ালা। কিন্তু এবারের সিরিজে সে উন্মাদনা যেন দেখা যাচ্ছে না। উইকেটে রান আসছে না। তবে বোলাররা দাপট দেখাচ্ছে। আর সে পথে বাংলাদেশের বোলাররা যেন এ প্লাস পেয়ে পাশ করল। আগের ম্যাচের চেয়ে এই ম্যাচে বাংলাদেশ পুঁজি জমাতে পারল কম। কিন্তু বোলিং পারফরম্যান্স হলো আরও ধারাল। তাসকিন আহমেদ কিংবা তানজিম হাসান, রিশাদ হোসেন বা শেখ মেহেদি হাসান, কাকে রেখে কার কথা বলা যায়। স্কিল, শৃঙ্খলা আর আগ্রাসন দিয়ে বিপজ্জনক ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইন আপকে গুঁড়িয়ে দিলেন তারা। টানা দুই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ জিতে নিল সিরিজ।

প্রথম ম্যাচে ১৪৭ রান নিয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৭ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ করতে পারল ২০ ওভারে ১২৯ রান। এবার আর আগের দিনের মতো ম্যাচ জমে উঠতে দেয়নি বোলাররা। ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস শেষ হয় ১০২ রানেই। আগের ম্যাচে শেষ সময়ে দারুণ এক ক্যামিও খেলা শামীম হোসেন ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন এই ম্যাচেও। একশর নিচে আটকে পড়ার শঙ্কায় থাকা দলকে এগিয়ে নেয় দুটি করে চার ও ছক্কায় তার ১৭ বলে ৩৫ রানের মহামূল্য ইনিংস। বোলিংয়ে বাংলাদেশের দাপটের শুরু ও শেষটা করেন অভিজ্ঞ তাসকিন। দারুণ বোলিংয়ে তাকে সঙ্গ দেন অন্যরাও। তবে বোলারদের ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা শামীম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধ৯৬ হাজার ডিজিটাল মিটার বসাবে ওয়াসা