ক্যান্সার নির্ণয়ের সব পরীক্ষা এপিক হেলথ কেয়ারে

বর্ষপূর্তিতে নানা কার্যক্রম

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৯ অক্টোবর, ২০২২ at ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের প্রথম আইএসও অ্যাক্রিডিটেশন সনদপ্রাপ্ত বেসরকারি রোগ নিরূপণী কেন্দ্র এপিক হেলথ কেয়ার ক্যান্সার নির্ণয়ের যাবতীয় পরীক্ষা চালু করেছে। ক্যান্সার বায়োপসি অথবা শরীর থেকে টিস্যু নিয়ে ঢাকা কিংবা দেশের বাইরে পাঠাতে হতো। এখন থেকে রোগীদের ক্যান্সার নির্ণয়সহ যাবতীয় জটিল ডায়গনস্টিক পরীক্ষা এখানেই সম্ভব হচ্ছে।

গতকাল দুপুরে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন এপিক হেলথ কেয়ার সেন্টারে সপ্তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) টি এম হান্নান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আইএসও অ্যাক্রিডিটেশন সনদ অর্জনের মাধ্যমে ল্যাবরেটরি সেবায় এপিক হেলথ কেয়ার চট্টগ্রামকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এছাড়া ক্যান্সার নির্ণয়ে বায়োপসির পাশাপাশি ‘ফ্রোজেন সেকশান’ নামে বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে অপারেশন চলাকালীন রোগীকে অপারেশন টেবিলে রেখেই ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে রোগীর শরীরে ক্যান্সারের পরিধি শনাক্ত করার সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে এপিক হেলথ কেয়ারে।

তিনি বলেন, দ্রুত রিপোর্ট প্রদানের উদ্দেশ্যে এপিক হেলথ কেয়ার যুক্ত করেছে সার্বক্ষণিক পূর্ণকালীন ল্যাব কনসাল্টেন্ট। চট্টগ্রামের প্রথম ল্যাব হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত প্রতি মাসে বায়োরেড ইউএসএ এবং রেনডক্স ইউকের সাথে এক্সটার্নাল কোয়ালিটি এসিউরেন্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে বিশ্বের উন্নত ল্যাবসমূহের সাথে তুলনামূলকভাবে গুণগতমান নিশ্চিত করে আসছে। এছাড়া সিডেটিভ এন্ডোসকপি (ব্যথামুক্ত পদ্ধতি), কলোনস্কপি, ফাইব্রোস্ক্যান, বিএমডি, ম্যামোগ্রাফিসহ অনেক আধুনিক মেডিকেল ডায়াগনস্টিক মেশিন যুক্ত হয়েছে এপিক হেলথ কেয়ারে।

টি এম হান্নান বলেন, চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রথম কিউই ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং সফটওয়্যারের মাধ্যমে ল্যাব কোয়ালিটি কন্ট্রোল চালু করেছে এপিক হেলথ কেয়ার। এছাড়া আইইডিসিআর জাতীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিষয়ে ডাটা তৈরিতে চট্টগ্রামের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একমাত্র এপিক হেলথ কেয়ারই সহযোগী ছিল। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিষয়ে সিডিসি, ডিজিএইচএস এবং ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ক্যাপচারা প্রজেক্টে বাংলাদেশের ৩৯টি নির্ধারিত ল্যাবের মধ্যে এপিক হেলথ কেয়ার সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এপিক হেলথ কেয়ারের পরিচালক (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) জসীম উদ্দিন, ম্যানেজার অপারেশন্স ডা. হামিদ হোসাইন আজাদ, এজিএম অ্যাডমিন অ্যান্ড এইচআর মো. আরেক হোসাইন প্রমুখ। উল্লেখ্য, এপিক হেলথ কেয়ারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা, রক্তদান কর্মসূচি, সরকারি হাসপাতালগুলোতে হুইল চেয়ার বিতরণ এবং মাসব্যাপী সকলের জন্য সকল টেস্ট ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্টসহ নানা কার্যক্রম ঘোষণা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিচিং মেথোডোলজির ওয়ার্কশপের সমাপনী অনুষ্ঠানে সনদ বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধবরের হাত ধোয়ানোর বকশিস নিয়ে সংঘর্ষে বিয়ে পণ্ড, আহত ৩০