ক্যাডেট সৌরভ চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন দুই মাস আগে

| মঙ্গলবার , ১ অক্টোবর, ২০২৪ at ৪:৩৯ পূর্বাহ্ণ

চাকরিতে যোগ দিয়েছেন মাত্র দুই মাস আগে। বাবামাকে কথা দিয়েছিলেন ছুটিতে বাড়ি আসবেন। কিন্তু তার আগেই চট্টগ্রামে জাহাজে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারালেন ডেক ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা।

নিম্নবিত্ত পরিবারটি আশা ছিল, ছেলে হয়ত পরিবারে সুদিন ফিরিয়ে আনবে। সব সামর্থ্য দিয়ে ছেলেকে লেখাপড়া করিয়েছিলেন তারা। সেই স্বপ্ন মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে নোঙর করা এমটি বাংলার জ্যোতিতে অগ্নিকাণ্ডের পর যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে সৌরভও রয়েছেন। গতকাল দুপুরের পর সৌরভের মৃত্যুর খবর পৌঁছায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা কবিরপুর গ্রামে। তারপর থেকেই বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। প্রতিবেশী ও আশপাশের মানুষজন ভিড় করেন বাড়িতে।

সৌরভের বাবামা বিলাপ করে চলেছিলেন। যারা সান্ত্বনা দিতে এসেছেন তাদের চোখেও ছিল জল। সৌরভের (২৫) বাবা মানিক সাহা ছোট্ট একটা মুদি দোকান চালান। দুই ছেলের বড় সৌরভ।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সৌরভ বরিশাল মেরিন একাডেমি থেকে পাস করে আগস্টেই বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে যোগ দিয়েছিলেন। তার চাকরির বয়স মাত্র দুই মাস।

সৌরভের দাদু শচীন সাহা কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, সে বলেছিল পূজার ছুটিতে বাড়িতে আসবে। কিন্তু তার আসা আর হলো না। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে।

সৌরভের প্রতিবেশী নিপুণ বিশ্বাস বলেন, সৌরভদের পরিবার নিম্নবিত্ত। ছোটবেলা থেকেই সে অত্যন্ত মেধাবী ছিল। তার বাবা খুব কষ্ট করে তাকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পড়িয়েছিলেন। পরিবারটির সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। বিকালে সৌরভদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদের ভিড়। তারা পরিবারটিকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কারো কান্নাই থামছে না।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, সৌরভের মরদেহ এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আমরাই তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেব। আগামীকাল (মঙ্গলবার) হয়ত মরদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতিন বাহিনীর কর্মকর্তারাই পেলেন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা
পরবর্তী নিবন্ধ৩০ রামদা ও ১৮ মদের বোতল উদ্ধার