খুলনায় কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক এএসআই গ্রেপ্তার হয়েছে।
খুলনা নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার (১৭ মে) মোখলেছুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি খুলনা নগর পুলিশের অতিরিক্ত কোর্ট এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এই ঘটনায় ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী সদর থানায় মামলা করেছেন। বিডিনিউজ
এছাড়া এই এএসআইকে বরখাস্ত করে একটি বিভাগীয় মামলাও করা হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্তে জেলা প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করেছে।
মেয়েটি খুলনা পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রয়েছেন। মোখলেছুর রহমান ওই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে গত ১ মে থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
খুলনা নগর পুলিশের মিডিয়া উইং প্রধান এডিসি শাহজাহান বলেন, “ওই তরুণী সদর থানায় লিখিত এই অভিযোগ করেছেন। গত ১৪ মে রাতে ওই তরুণীকে এএসআই মোখলেছুর রহমান ধর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এরপর অভিযোগটি নথিভুক্ত করে মোখলেছুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
নগর পুলিশের কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করে এএসআই মোখলেছুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছে। দু’টি মামলার তদন্তও শুরু হয়েছে।”
খুলনা পিটিআই-এর তত্ত্বাবধায়ক এবং কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দা ফেরদৌসী বলেন, “ভারত থেকে আসা নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য পিটিআইয়ের মেয়েদের হোস্টেলের দ্বিতীয় তলা ব্যবহার করছে জেলা প্রশাসন। এ পর্যন্ত ১৪ জন নারীকে সেখানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ১০ জন কোয়ারেন্টিনে শেষ করে চলে গেছেন।”
তবে ধর্ষণের ওই অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানেন না বলে জানান।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, “ওই নারীর কোয়ারেন্টিনের সময় এখনও শেষ হয়নি। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন তদন্ত করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
জেলা প্রশাসক বলেন, “ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নানা আইনি প্রয়োজনে তাকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে বের করে আবার ওই কেন্দ্রেই রাখা হয়েছে।”
প্রাথমিক তদন্তে যে প্রতিবেদন তিনি পেয়েছেন তাতে ওই ঘটনা সত্য বলেই তারা জেনেছেন।