কোল্ডস্টোরেজে ডিম রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ

ফেসবুক পেজ ও মোবাইল এসএমএসে বাজার নিয়ন্ত্রণ

জাহেদুল কবির | মঙ্গলবার , ২১ মে, ২০২৪ at ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ

উৎপাদন বাড়ার পরেও কমছে না ডিমের বাজার। আলুর মতো বিভিন্ন কোল্ডস্টোরেজে করা হচ্ছে ডিমের মজুদ। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে দাম। সংশ্লিষ্টরা জানান, কুমিল্লার দাউদকান্দি, চাঁদপুর, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কোল্ডস্টোরেজে ডিম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পরে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে সেই ডিম। গরীব মানুষের প্রোটিনের একমাত্র উৎস ডিম নিয়ে কারসাজি থামাতে প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

পাইকারী ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে বেশিরভাগ ডিমের সরবরাহ হয় টাঙ্গাইল থেকে। সরবরাহ টাঙ্গাইল থেকে হলেও বাজারের নিয়ন্ত্রণ করে ঢাকার তেঁজগাও সমিতি। তারা সারা দেশের ব্যবসায়ীদের কত টাকা দরে ডিম বিক্রি করবেন, সেটি জানিয়ে দেন। সেই মতে বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। এছাড়া একটি ফেসবুক পেজে প্রতিদিন কত দামে পাইকারীতে ডিম বিক্রি হচ্ছে সেই তথ্য জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। পাইকারী দামকে অনুসরণ করে খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেন। বর্তমানে পাইকারীতে ১০০ পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১৪০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১১ টাকা ৪০ পয়সা। গত দু্‌ইদিন আগে চট্টগ্রামের ডিমের চাহিদা কমার কারণে প্রতি পিস দামের দাম ১০ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে আসে। এদিকে খুচরা বাজারে গতকাল সেই ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫৫ টাকা। প্রতি পিসের দাম পড়ছে ১২ টাকা ৯১ পয়সা (প্রায় ১৩ টাকা)। অর্থাৎ পাইকারীর তুলনায় প্রতি পিস ডিম দেড় টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ভোক্তারা বলছেন, ডিমের বাজারে এখন অরাজকতা চলছে। পাইকারী হিসেবে প্রতি ডজন ডিমের দাম পড়ছে ১৩৬ টাকা। কিন্তু খুচরা বাজারে ডজনে ১৮ টাকা টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে। চকবাজার এলাকার খুচরা বিক্রেতা আমির আলী বলেন, আমরা সকালে ডিম বিক্রি করেছি ১৫০ টাকায়। বিকেলে বিক্রি করেছে ১৫৫ টাকায়। পাইকারীতে বাড়ছে তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

ইমরান হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, এক হালি ডিম কিনতে এখন খরচ পড়ছে ৫০ টাকার বেশি। বাজারে মাছ মাংসের দামের কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। ডিমের বাজারে সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। অথচ আমাদের প্রশাসনের কোনো সাড়া শব্দ নাই।

চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর দৈনিক আজাদীকে বলেন, আসলে গরমের কারণে অনেক ডিম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ডিমের সরবরাহও সব সময় এক রকম থাকছে না। তাই ডিমের বাজার উঠানামা করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিকাদানে ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম উদ্বোধন করল চসিক
পরবর্তী নিবন্ধইরানজুড়ে শোকের মাতম