প্যারালাইজড হয়ে তিন বছর ধরে শয্যাশায়ী রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৬২ বছর বয়সী পেলেন বড়ুয়া। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোলে চড়ে কেন্দ্রে এলেন তিনি। প্রয়োগ করলেন নিজের ভোটাধিকার। যাওয়ার পথে কেমন লাগছে জিজ্ঞেস করতেই অঝোর ধারায় কাঁদলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভেবেছিলাম জীবনে আর ভোট দেয়া হবে না। কিন্তু এলাকার ভাই–ভাতিজাদের সহযোগিতায় ভোট দিতে পেরেছি। সম্ভবত এটাই আমার জীবনের শেষ ভোট। এরপর সম্ভবত আর ভোট দেয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
শুধু পেলেন বড়ুয়াই নয়, এই কেন্দ্রটিতে অন্ধ বৃদ্ধাসহ শারীরিকভাবে অক্ষম অনেককেই ভোট দিতে দেখা গেছে। এই কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন কেন্দ্রে অনেক বৃদ্ধ ও পুরুষ–নারীকে ভোট দিতে দেখা গেছে। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলে বিক্ষিপ্ত ভোটাররা আসলেও, লাইন ছিলো না। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়ে, সাধারণ মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে। এ আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ছয় প্রার্থী। তবে ভোট গ্রহণ শেষে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সরকারের তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। তিনি এই আসন থেকে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এডভোকেট মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট। উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব জানান, উপজেলার ৯৫টি এবং বোয়ালখালী আংশিক আসনের শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ কেন্দ্রসহ এ আসনের ১০৩ কেন্দ্রের মধ্যে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১টি। এরমধ্যে সংগৃহীত হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬ ভোট। মোট ৬৯.৪৩ শতাংশ ভোট সংগৃহীত হয়েছে। কোনো অনাকাঙ্ক্িষত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে তিনি জানান।