পবিত্র ঈদুল আযহা আসতে আর অল্প কয়দিন বাকি আছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য হলো ত্যাগ করা। প্রায় প্রত্যেকেই তাদের সামর্থ্যানুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, উঠ, আল্লাহর নামে কোরবানী দিয়ে থাকে। আত্মীয়স্বজন এবং কম সামর্থবানদের মধ্যে বিতরণ করে থাকে। এই সময়টাতে যেহেতু ঘরে অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশী পরিমাণ মাংস থাকে। তাই অন্য সময়ের চেয়ে খাওয়াও হয় একটু বেশী পরিমাণে। যেমন অন্য সময়ে হয়তো অনেকে মগজ, কলিজা, জিব্হা, ভুড়ি এসব খায় না, কিন্তু ঐ সময়টাতে খেয়ে থাকে। সেই সাথে রুটিনের যে কাজকর্ম অফিস এসবও থাকে না, ফলে বাড়তি খাবার দেহে চর্বি হিসাবে জমা হয়।
মনে রাখা জরুরি : ১. গরু/ছাগল/মহিষ এসবের মাংসের সাদা চর্বি খাওয়া বাদ দিতে হবে।
২. মাংস রান্নার সময় অল্প সময় সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিতে হবে। ৩. সব মশলা দিয়ে মাখিয়ে সামান্য টক দই, লেবুর রস অথবা ভিনেগার দিয়ে ১ ঘন্টা মেরিন্যাট করে তাপে দিয়ে রান্না করুন, স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে রান্না করে মাংস খান, নিরাপদ থাকুন।
১০০ গ্রাম গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ : ক্যালরী আছে ২৫০ কি–ক্যালরী, প্রোটিন ২৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮ মি. গ্রাম, লোহা ২.৬ মি. গ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ২১ মি. গ্রাম, ভিটামিন ৭ মি. গ্রাম, পটাশিয়াম ৩১৮ মি. গ্রাম, সোডিয়াম ৭২ মি. গ্রাম। এছাড়াও পর্যাপ্ত ভিটামিন বি১,বি২,বি৬ এবং জিংক থাকে।
উপকারিতাঃ– রোগ প্রতীরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, পেশী, দাঁত ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে, দেহের বৃদ্ধি ও বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে, ক্ষত নিরাময় করে, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, চুল ও নথের স্বাস্থ্য ভালো রাখে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে ও স্মৃতিশক্তি ও দেহ কর্মোদ্যম রাখে।
কার জন্য কতোটুকু দরকার : গরুর মাংসে আছে প্রচুর প্রোটিন। প্রোটিনের চাহিদা নির্ভর করে একজন মানুষের দেহের ওজনের ওপর। ধরা যাক, একজন মানুষের আদর্শ ওজন ৬৪ কেজি। তিনি যদি নিরোগ থাকেন তাহলে প্রতিদিন তার ৬৪ গ্রামের মতো প্রোটিন প্রয়োজন। তবে যদি কিডনীর রোগ থাকে তবে অবশ্যই প্রোাটিন জাতীয় খাবার নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে–তা অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শে। মেয়েদের মাসিক চলাকালে, গর্ভাবস্থায়, প্রসূতি অবস্থায় এবং বর্ধনশীল বয়স অর্থাৎ ১৮ বৎসরের নীচে এবং যারা কম ওজনের আছে তাদের জন্য এর পরিমান পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
কিকি উপায়ে খেলে নিরাপদ : ১. মাংস যতো ছোট ছোট করে টুকরো করা হবে ততোই চর্বির পরিমাণ কম থাকবে। ২. শিক কাবাব, গ্রীল, শামী কাবাব, জালি কাবাব এভাবে খেলে চর্বি কম খাওয়া হবে। ৩. এছাড়াও গরুর মাংসের সাথে যদি, লাউ, মুলা, মিষ্টিকুমড়া, বুটের ডাল বাধাকপি, ফুলকপি, পেপে ইত্যাদি, মিশিয়ে রান্না করা হয় তবে খাওয়ার সময় মাংস কম খাওয়া হবে। অবএব গরুর মাংস সব সময় সবার জন্য ক্ষতিকারক নয়। জেনে বুঝে কার জন্য কতটুকু প্রয়োজন এবং কিভাবে রান্না করে খেলে স্বাস্থ্য সম্মত হবে উপায় জেনে নিন এবং সুস্থ্য ও নিরাপদ থাকুন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।