আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানি পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে প্রাাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। গতকাল টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভা অনুুষ্টিত হয়।
এতে সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কোরবানির চামড়া নিয়ে বিশৃঙ্খলারোধে সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করবে চসিক। চট্টগ্রাম শহরে পাশ্ববর্তী এলাকার কোরবানির পশুর চামড়া প্রবেশ রোধ করতে পারলে শহরের কোরবানিদাতারা ভাল দামে চামড়া বিক্রি করতে পারবেন, ফলে সব চামড়া বিক্রি হয়ে গেলে নগরে পরিত্যক্ত চামড়ার কারণে বর্জ্য তৈরি হয়ে মানুষ কষ্ট পাবে না। এজন্য কোরবানির দিন এবং কোরবানির পরের দুই দিন নগরের বাহিরের চামড়া যাতে প্রবেশ না করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
চসিকের বর্জ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোবারক আলী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নগরের বাহিরের চামড়া শহরে প্রবেশ করিয়ে চামড়ার দাম কমানোর অপকৌশল অবলম্বন করে। এভাবে দাম পড়ে যাওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত দেখা যায় অনেক চামড়া অবিক্রিত রয়ে যায়। এই অবিক্রিত চামড়ার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়ে মানুষ কষ্ট পায়। এই অপচর্চা ঠেকাতে জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে ভূমিকা রাখতে হবে।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী বলেন, কোরবানির দিন শহরকে দ্রুততম সময়ে পরিচ্ছন্ন করতে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় যানবাহন ও সরঞ্জাম সংগ্রহের পাশাপাশি কর্মীদের দিক–নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে যাতে কোরবানির বর্জ্য বা চামড়া পরিবেশের ক্ষতি না করতে পারে।
সভায় চসিক সচিব আশরাফুল আমিন, এডিশনাল এসপি রওশন আরা রব, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি নোবেল চাকমা, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের এডিএলও ডা. সাজিয়া আফরিন, চসিকের উপ–প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, চামড়া সমিতির সভাপতি মো. মুসলিমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।