‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ আয়োজিত রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, বন সংরক্ষক রাঙামাটি অঞ্চলের সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহিদুর রহমান মিয়া, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন, যখনই কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন হয়; তখন বৃক্ষ নিধন চলে। ২০১৪ সালে কয়েক লক্ষ সিএফটি গাছ আমরা নষ্ট করেছি। এই গাছগুলো লাগাতে আরও কতবছর লাগবে। যারা রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে গাছ নিধন করবে, তারা নিধনই করবে; আর আমরা গাছ লাগিয়ে যাব। আমাদের কাজ গাছ লাগানো, মানুষদের বাঁচানো; যেন বিশ্বের উষ্ণতা আমরা কমাতে পারি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড়ে সেগুন গাছ সৃজন ও তামাক চাষ উর্বর মাটিকে ধ্বংস করছে। পরিবেশের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে কাসাভা (আলু জাতীয় এক ধরণের ফসল) চাষ। খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায় কাসাভা চাষ ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, রাঙামাটিতে ফৌজদারি মামলা অনেকাংশে কম হলেও আদালতে বন ও পরিবেশ সংশ্লিষ্ট মামলা বেশি। পরিবেশ, বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। বৃক্ষরোপণ অভিযান যেন দৃঢ় হয়; সেই প্রত্যাশা রাখেন তিনি। সপ্তাহ্যব্যাপী বৃক্ষ মেলা চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত। তবে এবারের মেলায় অন্যবারের চেয়ে নার্সারির স্টল কম দেখা গেছে।