কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়

পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট

| রবিবার , ১৮ মে, ২০২৫ at ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে গতকাল শনিবার আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মো. সোয়েব উদ্দীন খান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, মো. আবু বকর সিদ্দিক, মো. আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তফা, এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ও নুসরাত জাহান জিনিয়া, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশিনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, চমেক পরিচালকের প্রতিনিধি ডা. জুনায়েদ আহমেদ, ফরেনসিক মেডিসিনের চিকিৎসক খালেদ হাসান, ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতিনিধি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) প্রতিনিধিসহ পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, জেলার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। কনফারেন্সে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া।

কনফারেন্সের শুরুতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরেন এবং ন্যায় বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে সকল প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো দূর করতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি থানার অফিসার ইনচার্জদের তদন্ত করার সময় মামলার আলামত যথাযথভাবে জব্দ করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আরো প্রশিক্ষিত হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি দ্রুত ও দক্ষতার সাথে প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করে তাদের নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন। কনফারেন্সে আগত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি জানান, এখন থেকে রেকর্ড দেখে মেডিকেল সনদ প্রদান করা হবে এবং ডাক্তার সাক্ষীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য একজন ফোকাল পার্সন নিয়োগ করা হবে।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা প্রতিরোধমূলক। তাই ৫৪ ধারার ব্যবহার কম করতে হবে। রিমান্ড শুনানির সময় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তার সমাপনী বক্তব্যে অর্থঋণ আদালত ও পারিবারিক আদালতের ওয়ারেন্ট দ্রুততম সময়ের মধ্যে তামিল করার গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বিচার প্রার্থী মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরিস্থিতি ঘোলাটে না করে নির্বাচনের তারিখ দিন : তারেক রহমান
পরবর্তী নিবন্ধস্কুল শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য-কার্ড : সিটি কর্পো’র একটি অভাবনীয় উদ্যোগ