কোটা সমাধান আদালতেই হতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

| রবিবার , ১৪ জুলাই, ২০২৪ at ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই কোটা বাতিল করেছিল, আদালত সেটি পুনর্বহাল করেছিল। সুতরাং কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি যারা বোঝেন না বা বুঝেও বুঝতে চান না বা যাদেরকে বিএনপিসহ অন্যরা ইন্ধন দিচ্ছে, তাদেরকে বলবো কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত করবেন না।’ খবর বাসসের।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরে পৌর এডওয়ার্ড পার্কের শহীদ টিটু মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্লাটিনাম রজতজয়ন্তী উদযাপন ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা ও প্রয়াতদের মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সরকারি চাকুরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে বলেন, কোটা সরকার পুনর্বহাল করেনি। সরকার বরং শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছিল। বাতিলের পর কোটাহীনভাবে সরকারি ও অন্যান্য চাকুরিতে নিয়োগ হচ্ছে। হাইকোর্ট রায় দিয়েছে কোটা পুনর্বহালের জন্য। সুপ্রিম কোর্ট সেটি স্থগিত করেছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বা বিচারাধীন বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, মনে রাখতে হবে, সরকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই কোটা বাতিল করেছিল, আদালত পুণর্বহাল করেছিল। সুতরাং কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে। সরকার আদালতকে উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না, যেহেতু বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এসব বুঝেও যারা জনভোগান্তি ঘটাচ্ছেন, জনগণের ভোগান্তি যাতে না ঘটে সেজন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর এবং আশা করবো শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছুরিকাঘাতে যুবক খুন, নারীসহ আটক ৩
পরবর্তী নিবন্ধদীর্ঘ বিরতির পর ইউনিট সম্মেলন, শুরুতে বিরোধ