সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও চট্টগ্রাম–হাটহাজারী মহাসড়ক অবরোধ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর আগে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলনে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চট্টগ্রাম–হাটহাজারী মহাসড়ক অবরোধ করেন প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা চট্টগ্রাম থেকে হাটহাজারী, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িগামী সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
আন্দোলনরত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা বেগম বলেন, আমরা এই বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা মানি না। কোটার কারণে মেধাবীরা তাদের সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছে না। কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ৮০ পেয়েও চাকরি পাবে না, আর কোটাধারীরা সহজেই চাকরি পাবে এটা মানা যায় না। আরবি বিভাগের মাসুম তালুকদার বলেন, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছি। অতিসত্ত্বর এই কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ছাত্র সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এর আগে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে চট্টগ্রাম–হাটহাজারী মহাসড়ক অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. অহিদুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা অবশ্যই যৌক্তিক একটি আন্দোলন করছে। এভাবে সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে ভিসি বরাবর একটি লিখিত দাবি জানানোর কথা বলেন তিনি। এর মাধ্যমে উপর মহলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি পৌঁছে যাবে বলে মনে করেন তিনি।