কোটা আন্দোলনের আড়ালে নাশকতা চালিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধীরা : মেয়র

মুরাদপুরে নিহত ফারুকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩১ জুলাই, ২০২৪ at ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

সরকারকে বিপদে ফেলতে দেশিবিদেশি কিছু অপশক্তি মিলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে সারা দেশে নাশকতা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় আন্দোলনের নামে টোকাই, ভাড়া করা লোক ও বেকার যুবকদের দিয়ে দেশজুড়ে নাশকতা চালানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মেয়র।

গতকাল দুপুরে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় এসব কথা বলেন মেয়র।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি ৬৬ সাল থেকে রাজনীতি করছি। আন্দোলনসংগ্রাম করেই ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছি। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এটা কোন সাধারণ আন্দোলন ছিল না। এটা ছিল রাষ্ট্রধ্বংসের আন্দোলন। এটা যদি আন্দোলনই হয় তাহলে সেতু ভবন, মেট্রোরেল স্টেশন, হানিফ ফ্লাইওভার, বিটিভি, পুলিশ বক্স এগুলো কী দোষ করেছে? এগুলো কেন ধ্বংস করা হল?

মেয়র বলেন, পুলিশের একজন সদস্যকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হল। মুরাদপুরে ৬তলা ভবন থেকে স্বাধীনতার পক্ষের ছাত্রদের নির্মমভাবে ফেলে দেয়া হল। জনগণের স্বপ্নের প্রকল্পগুলোতে বেছে বেছে হামলা চালানো হলো। এগুলোর পিছনে আসলে ছাত্ররা ছিল না, কোমলমতি ছাত্রদের আড়ালে স্বাধীনতাবিরোধীরা এই নাশকতা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি ওয়ার্ডে জনগণের জানমাল রক্ষায় কাউন্সিলরদের সভাপতি করে কমিটি করা হচ্ছে। কমিটিতে এলাকার মসজিদগুলোর ইমাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষদের সদস্য করা হবে। আমরা মানুষকে সচেতন করব। শোককে শক্তিতে পরিণত করে নাশকতামূলক যে কোন কার্যক্রমকে তৃণমূলেই রুখে দিব।

চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় অংশ নেন কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী শাহীনউল ইসলাম চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম ও তাসমিয়া তাহসিন।

আর্থিক সহায়তা : কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নগরের মুরাদপুরে সংঘটিত সংঘর্ষে নিহত মো. ওমর ফারুকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

গতকাল দুপুরে ওমর ফারুকের স্ত্রী তার সন্তানদের নিয়ে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সাথে দেখা করেন। এ সময় মেয়র তাদের সমবেদনা জানান এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা দেন। এছাড়া ওমর ফারুকের সন্তানদের সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুলে বিনামূল্যে লেখাপড়া করানোরও ঘোষণা দেন মেয়র।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের পাশাপাশি তাদের অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি আজ