বিএনপি–জামায়াত–শিবিরের নৈরাজ্য ও নাশকতার বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল বুধবার ১০টি স্থানে পূর্ব নির্ধারিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। দারুল ফজম মার্কেট চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি–জামায়াত শিবির চক্র যে আগুন চালিয়েছে তা যদি তারা নিভিয়ে ফেলতে না চায় তাহলে দেশপ্রেমিক জনগণ তাদেরকেই ঐ আগুনে নিক্ষেপ করবে। আজ একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে সরকার উৎখাতের জন্য স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি যে ঐক্যের ডাক গিয়েছে তা মূলত মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। যারা এসব কাজে নিয়োজিত আছে তাদেরকে শুধু প্রত্যাখ্যান নয়, অস্তিত্ব পর্যন্ত মুছে ফেলতে হবে।
তিনি গতকাল বুধবার সকালে বিএনপি–জামায়াত শিবির চক্রের নৈরাজ্য ও নাশকতা বিরুদ্ধে কার্যকলাপের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণের জান–মাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় মহানগর আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচিতে এসব বলেন।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সাধারণ মানুষের জান–মাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় জনগণকেই দায়িত্ব নিতে হবে এবং সরকার নাগরিকদের এই মহান দায়িত্ব পালনে সবধরনের সহায়তা ও সমর্থন করে যাবে। এই দায়িত্ব পালনে আমরা সরকার ও জনগণের পক্ষে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রতিটি নাগরিকের সাথে সংযোগ রক্ষা করে চলেছি। যেখানে এবং যেভাবেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী বিএনপি–জামায়াত শিবিরের পেশাদার দুর্বৃত্তরা ঘাপটি মেরে থাকবে তাদেরকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যতকে জলাঞ্জলি দেবেন না। আপনাদেরকে নিজেদের স্বার্থে ঘরে ফিরতেই হবে। অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে ও শফিক আদনানের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সফর আলী, এনামুল হক চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, বেলাল আহমদ, জামশেদুল আলম চৌধুরী, মাহাবুবুল হক সুমন, সালাউদ্দিন ইবনে আহমেদ, স্বপন কুমার মজুমদার, রুহুল আমিন তপন, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, ফারুক আহমেদ, আসফাক আহমেদ, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আতা উল্লাহ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আব্দুস চালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, ফরিদ মাহমুদ, শওকত হোসেন, জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ।
এছাড়া একই সময়ে আরো ১০টি স্থানে মহানগরের আওতাধীন পূর্ব নির্ধারিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এর মধ্যে এ কে খান মোড়ে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, মোহাম্মদ হোসেন, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, কাউন্সিলর নেছার উদ্দিন আহমেদ মনজু, মোরশেদ আকতার চৌধুরী, সুলতান আহমদ চৌধুরী, কাজী আলতাফ হোসেন, আবু তাহের, রেজাউল করিম কায়সার, সরওয়ার মোর্শেদ কচি, জহুরুল আলম জসিম, এরশাদ মামুন, মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল, আসলাম হোসেন, এম শওকত আলী, লুৎফুল হক খুশি, দিলদার খান দিলু, মোহাম্মদ এরশাদ উল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন খোকা, নাজিমুল ইসলাম মজুমদার, কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইলিয়াস প্রমুখ।