মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চারটি মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। সরকারি চাকরিতে প্রবেশ এবং মাধ্যমিক–উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে পরিষদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (গতকাল) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন পরিষদের সদস্যরা। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তাতে সভাপতিত্ব করেন। খবর বিডিনিউজের।
গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৪–২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ৩৭২ জন নির্বাচিত হন, যাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় ছিলেন ১৯৩ জন। ফল প্রকাশের পর কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে কেউ কেউ বলেন, কম নম্বর পেয়েও অনেকে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
কোটা নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের তিন সিদ্ধান্ত : ১. মেডিকেল কলেজে ভর্তির বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে; ২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদদের বৈঠকে তুলে ধরবে; ৩. মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তুলে ধরবে। তবে এসব মতামত বা সুপারিশ কতদিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে, তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়নি।