কোচদের কথা বোঝেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা দোভাষী চান পেস বোলার নাসিম শাহ

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ১০ আগস্ট, ২০২৪ at ৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ

কোচ বদলাতে পারে, কিন্তু ক্রিকেটের মানোন্নয়ন করতে পারে না পাকিস্তান। নেপথ্যে কারণও খুঁজে পায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড । একের পর এক ব্যর্থতার দায় কোচদের উপর দিয়ে চাপিয়ে দেয় বোর্ড। বিদেশি নামীদামী কোচদের করা হয় চাকরি থেকে বরখাস্ত। অনেক কোচ নিজেই পদত্যাগ করে পিসিবি ছাড়েন। অথচ শর্ষের মধ্যে লুকিয়ে আছে ভূত। সেদিকে খেয়াল নেই বোর্ড কর্মকর্তাদের। কোচদের ভাষা বোঝেন না স্বয়ং ক্রিকেটাররাই। যাদের নিয়ে এত আয়োজন, তারাই নেমে পড়েন অবুঝ শিশুর ভূমিকায়। যে কারণে কোচদের বহুদিনের অভিজ্ঞতায় ফলিত ক্রিকেটীয় দর্শনও কাজে দেয় না। হয়তো ভেস্তে যায় দারুণ সব ধারণা, কুটকৌশল আর অমূল্য পরিকল্পনাও। পাকিস্তান ক্রিকেটারের ব্যর্থতার পেছনের সে কারণকেই আরও একবার সামনে আনলেন পেসার নাসিম শাহ। তিনি জানালেন, ক্রিকেটাররা কোচদের কথা বোঝেন না। খেলার উন্নয়ন তো পরের বিষয়। আগে কোচদের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া থাকতে হবে ও তাদের ক্রিকেটীয় দর্শনকে উপলব্ধি করতে হবে। তাদের সঙ্গে বসে পরিকল্পনা সাজাতে। তাহলেই কেবল ক্রিকেটাররা নিজেদের দক্ষতা ও সামর্থ্য বাড়াতে পারবেন। কোচদের সঙ্গে যোগাযোগ ঘাটতি কাটিয়ে তুলতে কী করতে হবে, সেটি বলেছেন পাকিস্তান পেসার। নাসিম শাহ জানিয়েছেন, ক্রিকেটাররা কথা যেন কোচদের কথা ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং আন্তঃ যোগাযোগে সফল হতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য দোভাষী নিয়োগ করতে হবে। গেল কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান ক্রিকেটের দায়িত্বে আছেন বিদেশি কোচরা। বর্তমানে পাকিস্তানের সাদা বলের হেডকোচ গ্যারি কারেস্টেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার। এছাড়া লাল বলের হেডকোচ জেসন গিলেস্পিও বিদেশি। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার । এসব কোচদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপনের জন্য দোভাষী নিয়োগ করার প্রয়োজন বলে মনে করছেন নাসিম শাহ। সেই দোভাষী ক্রিকেটার ও কোচদুই পক্ষের কথাই বুঝবেন। তারপর দুই পক্ষককেই ভালোভাবে বোঝাতে পারবেন। এক্ষেত্রে স্থানীয় কাউকে দোভাষী হিসেবে নিয়োগ করার কথা বলেছেন নাসিম শাহ। কারণ, পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সবাই স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন। এসব ভাষার মধ্যে রয়েছে উর্দু, পাঞ্চাবি, সিন্ধি ও পশতু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ সিরিজে শামিকে পেতে চায় ভারত
পরবর্তী নিবন্ধবর্শা নিক্ষেপে রেকর্ড গড়ে পাকিস্তানি নাদিমের সোনা জয়