চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় মেয়র প্রার্থীর জন্য ৯শ’ কেন্দ্র কমিটি এবং এজেন্ট তালিকা আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য থানা ও ওয়ার্ড কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে খুব জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা ডিসেম্বরের মধ্যে চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই কারণে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ইতোমধ্যে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছেন। দুই প্রধান দলের মেয়রপ্রার্থী এখন পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছেন। প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছেন সভা-সমাবেশ।
নির্বাচনকে সামনে রেখে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তাদের দলীয় মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়পার্ডে এবং ইউনিটে ইউনিটে যাচ্ছেন তৃণমূল পর্যায়ে। ওই সময় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ওয়ার্ড এবং ইউনিটের ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতাদের দিয়ে কেন্দ্র কমিটি এবং এজেন্ট তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশ দিয়ে আসছেন। এই ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন আজাদীকে জানান, চসিক নির্বাচন নিয়ে আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। আমাদের মেয়র প্রার্থীকে নিয়ে আমরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যাচ্ছি তৃণমূল পর্যায়ে। আমরা ৭ নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র কমিটি গঠন করে জমা দিতে বলেছি এবং এজেন্টের তালিকাও জমা দেওয়ার জন্য বলেছি। প্রত্যেক বুথে একজন করে এজেন্ট থাকবে। তালিকা আমরা একজনের বেশি করবো। অনেকে অসুস্থ থাকতে পারেন অথবা অনেকে নানা কারণে অনুপস্থিতও থাকতে পারেন। এজন্য একজনের বেশি এজেন্টের তালিকা জমা দিতে বলেছি। একই সাথে প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য ৪০ থেকে ১০০ জনের বা তার অধিক কেন্দ্র কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্র কমিটিতে থাকবেন যারা দলের জন্য আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল পরীক্ষিত তাদেরকে দিয়ে কেন্দ্র কমিটি করার জন্য আমরা বলেছি। এই কেন্দ্র কমিটি তারা হাউস ক্যাম্পেইন করবেন, প্রচার প্রচারণা চালাবেন।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান আজাদীকে জানান, চসিক নির্বাচন যেহেতু স্থগিত করা হয়েছে যে কোনো মুহূর্তে কমিশন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করতে পারেন। এ ব্যাপারে আমাদেরও প্রস্তুতি রয়েছে। নভেম্বরে না হলেও ডিসেম্বরের মধ্যে আশা করা যায়। প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থীরাও বেশ সক্রিয় হয়েছেন। তারা প্রতিদিনের সভা-সমাবেশ করছেন। কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী মারা গেছেন। তাদের ব্যাপারে কমিশন ভোট গ্রহণে একই দিনে করবেন নাকি পরবর্তীতে তারিখ দিয়ে করবেন সেটা সিদ্ধান্ত নেবেন। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের বেশ কিছু প্রস্তুতি নেয়া আছে। আরো কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে। যেহেতু অনেক দিন গ্যাপ হয়ে গেছে। আমাদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে আবার। প্রশিক্ষণ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এর মধ্যেই নির্বাচন স্থগিত হয়ে গিয়েছিল।