কেঁচোসার : একটি সম্ভাবনাময় আয়ের উৎস

তানজিনা আক্তার | শুক্রবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

কেঁচোকে বলা হয় প্রাকৃতিক লাঙ্গল। যে মাটিতে কেঁচো থাকে সে মাটিতে ফলন ভালো হয়। ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচোসার হলো একটি জৈব সার যা জমির উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই সার তৈরির পদ্ধতি অনেক সহজ। এ পদ্ধতিতে এক মাসের বাসি গোবর খেয়ে কেঁচো মলত্যাগ করে দেহ থেকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বের করে যে সার তৈরি হয় তাকে কেঁচো কম্পোস্ট বা ভার্মি কম্পোস্ট বলা হয়। এছাড়া সার তৈরিতে শাকসবজির উচ্ছিষ্ট, মুরগির বিষ্ঠা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে কেঁচো সারের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি অঙ্কুরোদগম, উদ্ভিদের বৃদ্ধি, মূলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে, মাটির বায়ু চলাচলের সাহায্য করে, মাটিতে জল ধারণ ক্ষমতা উন্নত করে। কেঁচো সার সব ধরনের ফসলে ব্যবহার করা যায়। গাছের জন্য সাধারণত ১৬ টি খাদ্য উপাদান প্রয়োজন। তার মধ্যে ১০ টি উপাদান কেঁচো সারেই বিদ্যমান। এ থেকে বোঝাই যায় গাছের যত্নে কেঁচো সার কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ভার্মি কম্পোস্ট একটি জনপ্রিয় আয়ের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ঘরোয়া ও সহজ পদ্ধতিতে এ সার উৎপাদন করে অনেক হতদরিদ্র পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবোশেখ এলেই
পরবর্তী নিবন্ধইসরায়েলি বর্বরতার শেষ কোথায়?