পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রামে কৃষি কাজ বেশিরভাগ মানুষ ছেড়ে দিয়েছে। অথচ কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হয়ে ভালো উপার্জন করা সম্ভব। আগে আমাদের মা–বোনেরা, চাচী–দাদীরা বাড়ির পেছনে–সামনে নানা কৃষি কাজে উৎপাদন করে সারাবছর ঘরের মধ্যে আলু, মিষ্টিকুমড়া জাতীয় ফসল মজুদ রাখতেন। কিন্তু এখন এসব কমে গেছে। তাই কৃষি উৎপাদন দ্বিগুণ বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের উদ্যমী হতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের আবাদ বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। উপজেলাকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কৃষকদের আইল কৃষিসহ মূল ফসলের সাথে বিভিন্ন সাথী ফসল উৎপাদনেও আগ্রহী করে তুলতে হবে। রাঙ্গুনিয়ায় প্রচুর পাহাড় রয়েছে। তাই পাহাড়ে কি কি চাষ করা যায়, সেটির প্রতিও মনোযোগ দিতে হবে। কৃষি ক্যালেন্ডার প্রতিটা ইউনিয়নে ১০০০ করে দিতে হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শেখর বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম রেডক্রিসেন্ট জেলার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আসলাম খান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল আলম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরমিন আক্তার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দিবাকর দাশ মান্না, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান, বনবিভাগের উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান প্রমুখ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আরও পরিচ্ছন্ন করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বাড়াতে হবে। পৌরসভা থেকে আরও একজন ক্লিনার দেয়া হবে। তিনি বলেন, উপজেলায় যেসব টিকাদার কাজ পেয়েও ফেলে রাখে তাদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অবৈধ গাছের গাড়ি বন্ধে জিরো টলারেন্সে নীতি অবলম্বন করতে হবে। অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে কঠোর হতে হবে।