মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশটির আমির শেখ মেশাল আল–আহমদ আল–সাবাহ টেলিভিশন ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদও চার বছরের বেশি সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন তিনি। আর এই সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সমস্ত দিক অধ্যয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর বাংলানিউজের।
গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ক্ষমতা আমির এবং দেশটির মন্ত্রিসভা গ্রহণ করবে।
আমির শেখ মেশাল আল–আহমদ আল–সাবাহ বলেছেন, কুয়েত সমপ্রতি বেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে, যার ফলে দেশ বাঁচাতে এবং দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থ সুরক্ষিত করতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
এ নিয়ে দ্বিধা বা দেরি করার কোনো সুযোগ নেই। এই প্রথম নয়, কুয়েতে এর আগেও মন্ত্রিসভায় রদবদল এবং পার্লামেন্টও ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দশক ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে এমনটি ঘটেছে। রয়টার্স বলছে, কুয়েতের আইনসভা অন্যান্য উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের দেশগুলোর আইনসভা বা অনুরূপ সংস্থাগুলোর চেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে থাকে।