সন্দ্বীপ চ্যানেলের সীতাকুণ্ডে কুমিরা সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত একটি বাল্কহেড ও ড্রেজারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বেশ কিছুদিন ধরে এসব ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে একটি চক্র সাগর থেকে পরিবেশের ক্ষতিকরে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছিল। আর সাগর থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে নানা চাপা ক্ষোভ দেখা দেয় এলাকাবাসী ও সচেত মহলে। বালু উত্তোলনের কারণে সাগরের ওই সব উপকূলের জীবন রক্ষা বেড়িবাঁধ ও ক্রমশ ভাঙতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পরে জনতা ও স্থানীয় এলাকাবাসী সন্দ্বীপ চ্যানেলের কুমিরা ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলনের বাল্কহেড ও ড্রেজারে আগুন লাগিয়ে দেয়। তবে কে বা কারা কুমিরা সাগর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তা জানাতে পারেনি নৌ–পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী। স্থানীয়রা বলেন, সাগর থেকে বেশ কিছুদিন ধরে নির্বিচারে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। কিন্তু তারা কেউ ভয়ে মুখ খুলেনি। নিরবে তারা শুধু দেখেই আসছিল। একপর্যায়ে এদিন দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা একত্রিত হয়ে ওই এলাকায় অবস্থান করে বাল্কহেড ও ড্রেজারে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে কুমিরা নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। স্থানীয় এলাকাবাস দের মধ্যে অনেকেই জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বাইরে বিক্রি করছিল। অপরিকল্পিতভাবে সাগর থেকে বালু উত্তোলনে প্রতিনিয়তো ভাঙছে উপকূলের বেড়িবাঁধের মাটি
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মানুন বলেন, দুপুরের দিকে আমরা এ বিষয়টি স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছি। তবে পুলিশ প্রটেকশন ছাড়াতো আমরা ইচ্ছে করলে সাগরে যেতে পারিনা। এদিকে কুমিরা নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, কুমিরা এলাকায় ড্রেজার ও বাল্কহেডে আগুন দেওয়ার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আলমগীর বলেন, পুড়ে দেওয়া ড্রেজার ও বাল্কহেড কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং কারা বাল্কহেড ভাড়া দিয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তবে বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো।










