কুতুবদিয়া এ্যাংকরেজ এলাকায় এমটি ক্যাপ্টেন নিকোলাস জাহাজ ও সোফিয়া জাহাজে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ কমিটি গঠন করেছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর এম ফজলার রহমানকে। কমিটিতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিজিএফআই, এনএসআই, নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা আছেন। এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিকে এমটি ক্যাপ্টেন নিকোলাস এবং বি. এলপিজি সোফিয়া জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটন, এলপিজি পরিবহনে জাহাজ এবং জাহাজ সমূহের নাবিকদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, পরিবাহিত এলপিজি এর পরিবহন ও উপযুক্ততা নিরূপণ, অগ্নিদুর্ঘটনার ফলে সংঘটিত ক্ষয়ক্ষতি ও দায়-দায়িত্ব নিরুপণ, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশ প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয় পর্যালোচনাপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল ওই জাহাজে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। নৌপরিবহন উপদেষ্টা উক্ত ঘটনাসহ সাম্প্রতিক সময়ে জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন একইসাথে কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনপূর্বক জাহাজ সমূহের বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে ১৭ ঘণ্টাতেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বঙ্গোপসাগরে এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ সুফিয়ায় লাগা আগুন। তবে, অপর মাদার ভেসেল নিকোলাস ক্যাপ্টেনের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। রাত ১টায় কুতুবদিয়া পয়েন্টের দক্ষিণে নোঙর করা জাহাজ দুটিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নৌবাহিনীর ৫টি ও কোস্ট গার্ডের ২টি জাহাজ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্নিনির্বাপক দলও যৌথভাবে কাজ করছে। এলপিজি বহনকারী জাহাজ সুফিয়া ও নিকোলাস ক্যাপ্টেনে থাকা ৩১ জন ক্রুকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে কোস্ট গার্ডের মেডিকেল দল। কয়েকদিন আগে শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন তেলবাহী জাহাজ বাংলার সৌরভ ও বাংলার জ্যোতিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণহানিও হয়।