কী হতে চলেছে ২৮ অক্টোবর

সাধারণ মানুষ কৌতুহলে

ঋত্বিক নয়ন ম | বৃহস্পতিবার , ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ at ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ডেটলাইন ২৮ অক্টোবর। ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই দিনে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একই দিনে দেশের দুই বৃহত্তম দলের সমাবেশ, নেতাদের হুংকার উৎকণ্ঠা ও কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষের। সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও আড্ডায় চায়ের কাপে ঝড় তুলছে একটাই প্রশ্ন– ‘কী হতে চলেছে আগামী ২৮ অক্টোবর?’ বিশেষ করে যখন উভয় দলই বলছে, রাজপথ থাকবে তাদের দখলে। জনগণের অংশগ্রহণে ওই দিন তাদের সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সপ্তাহ দুয়েক আগে একই দিনে বড় দুই রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশের কারণে সংঘাত তৈরি হওয়ার শঙ্কাও করছেন অনেকে। যদিও দুই দলই পরস্পরের প্রতি ইঙ্গিত করে বলছে যে, উস্কানি না থাকলে আগে থেকেই কোনও ধরনের সংঘাতের দিকে যাবে না তারা, মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, দুই দলের সমাবেশের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। কিন্তু সাধারণ মানুষের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। মোমিন রোডের বিএনপি সমর্থক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. মনির আজাদীকে জানান, এর আগে বিভাগীয় সমাবেশের সময়ও সমাবেশ ঘিরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরপরও তা বন্ধ করা যায়নি। সব প্রতিবন্ধকতা পাশ কাটিয়ে তারা এসেছে। এবারো তাই হবে।

সিআরবিতে একটি টং দোকানের সামনে চা পান করতে করতে তর্ক হচ্ছিল তিন/চারজন সিএনজি টেঙি চালকের মধ্যে। তাদের একজন আলমগীর বলেন, এক বছর ধরে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে সরকার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ পালন করে আসছে। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশও তারই অংশ। আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে। তিনি বলেন, জনগণ পক্ষে আছে বলেই তাদের খুব বেশি প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার হয় না। আমরা আহ্বান করলে আমাদের নেতাকর্মীরা যেমন আসে, সাধারণ মানুষও আসে।

তাদের সাথে থাকা সিএনজি চালক নাছিম জানান, এই সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। বিএনপি আর জামায়াত যদি ‘সন্ত্রাস’ না করে তাহলে সেক্ষেত্রে ২৮ অক্টোবর যারা যেখানে সমাবেশ করতে চায় সেটি করার সুযোগ আছে। কিন্তু সন্ত্রাসের পথে হাঁটলে দেশের মানুষের অধিকার আছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করা।

অন্যদিকে মাঠ পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের মাঝেও ২৮ অক্টোবর নিয়ে টেনশন লক্ষ করা গেছে। চলছে আলোচনাও। তাদের মন্তব্য ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের শাপলা চত্বরের মতো যাতে নেতাকর্মীরা বসে যেতে না পারে সেদিক বিবেচনা করে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

সিএমপির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে জামায়াতে ইসলামী সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলে তথ্য রয়েছে। ২৮ অক্টোবরকে (২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগিবৈঠার হামলা) জামায়াত বিশেষ দিন হিসেবে পালন করে। এ জন্য বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখাটাই স্বাভাবিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে হামুনের তাণ্ডবে ৪৩ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত
পরবর্তী নিবন্ধক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে আজ বিকাল নাগাদ : প্রতিমন্ত্রী