কীর্তিমান লেখক ও গবেষক আহমদ মমতাজ

তহুরীন সবুর ডালিয়া | শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

আহমদ মমতাজ বাংলাদেশের অনন্য এক জ্ঞানকোষ, কীর্তিমান গবেষক ও লেখক, ইতিহাসের একজন ফেরিওয়ালা। প্রতিনিয়ত সৃজনশীল, গবেষণাধর্মী বিষয় ও ইতিহাস নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন আঞ্চলিক ইতিহাস, সাহিত্য ও লোক গবেষণার বরপুত্র। নিজের শিকড় নিয়ে কাজ করার প্রবল বাসনায় ডুবুরি হয়ে ডুব দিয়েছেন ইতিহাসের পাতায় পাতায়। আমৃত্যু তার জীবন কেটেছে অনুসন্ধান ও অনুসন্ধিৎসায়। বরেণ্য এই গবেষক ও লেখক তার কর্ম দিয়ে প্রমাণ করেছেন মানুষ তার কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকেন হাজার বছর।

আহমদ মমতাজ ১৯৬০ সালের ২০ জুন চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলার এক নং করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম অলিনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আবদুল বারিক ও মা আমেনা খাতুন। আহমদ মমতাজ চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষক হিসেবে। পরবর্তীতে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি নেন। ৯০ দশকের দিকে, ব্যাংক ছেড়ে তিনি সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। ১৯৯২ সালে ঢাকায় মুদ্রণ ও প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে যোগদান এবং পরবর্তীতে বাংলা একাডেমির লোকজ সংস্কৃতি প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে হয়ে ওঠেন নিবিষ্ট এক গবেষক। ২০১৪ সালে আহমদ মমতাজ বাংলা একাডেমিতে সহকারী পরিচালক পদমর্যাদায় যোগদান করেন। চার দশক ধরে সাহিত্যচর্চা, গবেষণা, সামাজিকসাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং প্রবন্ধ,গল্প, ইতিহাসঐতিহ্য বিষয়ক অনুসন্ধানী মূলক অসংখ্য রচনা ও সম্পাদনার কাজ তিনি সম্পাদন করেছেন।

সমাজের কোন সমস্যা অনুধাবন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির একমাত্র উপযুক্ত মাধ্যম হচ্ছে গবেষণা। গবেষণা ছাড়া কোনও জাতি তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্যে পৌঁছাতে পারে না। গবেষণা ছাড়া কোনও দেশ সঠিকভাবে নিজেদের ইতিহাস জানতে পারে না। একটি দেশকে জানতে হলে দেশের ইতিহাস ও সমস্যাগুলি গভীরভাবে অনুধাবন করতে হলে এবং সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করার পূর্বশর্ত হিসেবে ঐতিহাসিক জ্ঞান ও গবেষণা খুবই জরুরি। গবেষণার মাধ্যমে অতীত সব সময় বর্তমান থাকে। ফলে কোনও জাতিকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব হয় না। গবেষণার ক্ষেত্রে সমৃদ্ধির কারণে উন্নত দেশগুলোতে অতীত নিয়ে খুব বেশি বিতর্ক বা তথ্য বিভ্রাট নেই, যতটা আমাদের আছে। কেননা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার ক্ষেত্র খুবই সীমিত। প্রকৃতপক্ষে একটি দেশের অর্থনৈতিক সংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রসার মানুষের মানসগঠন, চাহিদা ও আচরণ বোঝার জন্য গবেষণার বিকল্প নেই। পঠনপাঠন ও গবেষণাতে আশানুরূপ ফল পেতে নৈতিকতা মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পরিশ্রম, নিষ্ঠা, সৃজনশীলতার গুণাবলী অত্যন্ত জরুরি। আহমদ মমতাজ ছিলেন এই সবগুলো গুণাবলীর আকর। গবেষণা জগতের নির্ধারিত কোন ব্যক্তি, কর্মী বা পেশাদার না হয়েও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অদম্য ন্যায়নিষ্ঠা সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে একজন সার্বক্ষণিক গবেষক হিসেবে নিজেকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

বাংলাদেশের লোকসাহিত্য সংস্কৃতির রয়েছে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। এই ঋদ্ধ সাহিত্য সংস্কৃতিকে বুঝা খুবই জরুরি। আজকের দিনে পুঁজির দাপট, উপনিবেশবাদ, ভাবাদর্শগত জটিলতা, নিজস্ব সংস্কৃতি থেকে আমাদের ক্রমশ দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। যদি নিজের কাছে, শিকড়ের খোঁজে ফিরে যেতে হয়, তাহলে আমাদের লোকপ্রজ্ঞার সন্ধান করতেই হবে। আহমদ মমতাজ তারই অনুসন্ধান করেছেন জীবনভর। আহমদ মমতাজের প্রকাশিত ‘মিরসরাইর ইতিহাস সমাজ ও সংস্কৃতি’ নামের ৮৭৯ পৃষ্ঠার বিশাল বইটি প্রমাণ করে আঞ্চলিক ইতিহাসের গুরুত্ব কতখানি। মূল্যবান এই গ্রন্থটিতে মিরসরাইয়ের ঐতিহাসিক ও ভৌগলিক গুরুত্ব, এর নামের সঠিক বানান নির্দেশ, এর হাটবাজার, মসজিদ, মন্দির, দিঘি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা, সেই সাথে মিরসরাইর প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগ এবং পাকিস্তান আমলের ইতিহাস যেখানে কিনা চট্টগ্রামের ইতিহাসেরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে। তাছাড়া তিনি এখানকার কৃতি সন্তানদের জীবনী সংগ্রহ করেছেন বছরের পর বছর ব্যক্তিগতভাবে, পত্রপত্রিকা, লোক মারফত ও তিন শতাধিক চিঠির মাধ্যমে। এই গ্রন্থে দুই শতাধিক কীর্তিমান ব্যক্তির জীবনী, মিরসরাইর ১৯৭১জন তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ৫ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার নাম ও পরিচিতি সংযোজিত রয়েছে।

এই বইটির ছয় পৃষ্ঠার মুখবন্ধ লিখেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য সমকালের শ্রেষ্ঠ ইতিহাসবিদ ইমেরিটাস প্রফেসর ডক্টর আবদুল করিম। মুখবন্ধে তিনি আহমদ মমতাজের গবেষণা কর্মের মূল্যায়ন করে লিখেছেন, “স্নেহভাজন আহমদ মমতাজ ‘মিরসরাইর ইতিহাস সমাজ ও সংস্কৃতি’ নামের পুস্তিকাখানি লিখে জাতীয় কর্তব্য সম্পাদন করেছে। এই পুস্তকের বিষয়বস্তু বিন্যাসে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনায় আমি সন্তুষ্ট।” প্রফেসর ডক্টর আবদুল করিমের এমন অসাধারণ মন্তব্য, আহমদ মমতাজের ইতিহাস গবেষণার পূর্ণাঙ্গতা প্রাপ্তির এক মূল্যবান সনদপত্র।

তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা গ্রন্থু দুই খণ্ডে ‘চট্টগ্রামের সুফি সাধক’ এই গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে চট্টগ্রামের ৩৯ জন পীর দরবেশের জীবনী স্থান পেয়েছে। দ্বিতীয় খণ্ডে স্থান পেয়েছে ২৯ জন। আহমদ মমতাজ নিজে ছিলেন সুফি দরবেশের বংশদ্ভুত একজন। তিনি প্রখ্যাত সুফি দরবেশ শুয়া শাহ ফকিরের ষষ্ঠ অধস্তন বংশধর।

গবেষক আহমদ মমতাজ তার ৪৪০ পৃষ্ঠার ‘চট্টল মনীষা’ গ্রন্থে উনিশ শতক ও তার কিছু পূর্বে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী ২১৫ জন মনীষীর জীবনী সংকলন করতে সক্ষম হয়েছেন। ‘চট্টল মনীষা’ গ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেছেন, চট্টগ্রামের প্রথম ইসলাম প্রচারক ও অভিভাবক দরবেশ হযরত পীর বদর শাহ (রহ🙂 এর পুণ্য স্মৃতির উদ্দেশে। বদর শাহ সম্পর্কে তার মূল্যায়ন হচ্ছে, তিনি চট্টগ্রামের প্রথম ইসলাম প্রচারক এবং অভিভাবক দরবেশ। এই দুটো অভিধা সম্পর্কে ইতিহাসবিদ ডক্টর আবদুল করিমের ঐক্যমত রয়েছে। তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ‘ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম’ গ্রন্থটি। এই গ্রন্থে ‘সিপাহী বিদ্রোহ: বাংলা সাহিত্য ও সংবাদপত্রে’, ‘বিপ্লবী দলে মুসলিম সম্পৃক্ততা’, ‘যুব বিদ্রোহের সূর্য সাথী বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী’ প্রবন্ধ সমূহ তার একান্তই মৌলিক কাজ।

আহমদ মমতাজের সম্পাদিত ‘চট্টগ্রাম পরিক্রমা’ (তিনটি সংখ্যা প্রকাশিত) ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সাহিত্য বিষয়ক একটি অনন্য পত্রিকা, যা কেবল চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে। এমন গবেষণাধর্মী পত্রিকা এর আগে বাংলাদেশে আর প্রকাশ হয়েছিল বলে জানা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের পাঠ্যসূচীতে আহমেদ মমতাজের তিনটি বই অন্তর্ভুক্ত আছে। বইগুলো হলো ‘মিরসরাইর ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতি’ প্রকাশিত ২০০৪, ‘চট্টগ্রামের সুফি সাধক’ প্রথম খণ্ড প্রকাশিত ২০০৪, ‘চট্টগ্রামের সুফি সাধক’ দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত ২০০৫।

অহর্নিশ কর্ম পাগল আহমদ মমতাজ তার জীবদ্দশায় যত বই প্রকাশ করেছেন এর বাইরেও তার বিরাট সংগ্রহ ভাণ্ডার এখনো অপ্রকাশিত অবস্থায় রয়ে গেছে।

আহমদ মমতাজের গবেষণা আমাদের আঞ্চলিক ইতিহাস, সাহিত্য ও সংস্কৃতি গবেষণার ক্ষেত্রে একটি উজ্জল মাইলফলক এবং দিকনির্দেশনা। ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত চর্চা অনুশীলন ও গবেষণায় তার গবেষণা কর্ম অনুসন্ধানী পাঠক, লেখক ও গবেষকদের পথ দেখাবে। তথ্য, তত্ত্ব ও উপাত্ত সংগ্রহের জন্য মাঠকর্ম সম্পন্ন করতে গিয়ে তাকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। ছুটতে হয়েছে নানা স্থানে। বিষয়গুলোকে যথাযথভাবে সন্নিবেশ সমন্বয় করতে কাজ করতে হয়েছে অহর্নিশ। এক কথায় অনেক ত্যাগ ও সাধনার সোনালী ফসল আহমদ মমতাজ এর গবেষণা কর্ম।

আহমদ মমতাজ ছিলেন চট্টগ্রাম সমিতির মুখপত্র ‘চট্টল শিখা’র সম্পাদক। ২০১২ সালে চট্টগ্রাম সমিতির শতবর্ষী উদযাপনে সবচেয়ে প্রশংসনীয় কাজ হয়েছিল সাহিত্য সম্মিলন করা। চট্টগ্রামের লেখক ও কবি সাহিত্যিকদের একত্রিত করে সম্মাননা দেওয়া। বিশাল এই কর্মযজ্ঞের জন্য আহমেদ মমতাজ কালের সাক্ষী হয়ে থাকবেন। শুধু তাই নয় চট্টগ্রাম সমিতি ভবনে নিজ পরিকল্পনায় গড়েছেন চমৎকার একটি পাঠাগার। তার একজন শুভানুধ্যায়ী হিসাবে অন্য অনেকের মত আমারও চাওয়া ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতিকে যিনি এত দিয়েছেন তার নামে চট্টগ্রাম সমিতির পাঠাগারটির নামকরণ করা হোক।

২০১৮ সাল পর্যন্ত আহমদ মমতাজের এককভাবে সাতটি এবং স্ত্রী রায়হান নাসরিনের সঙ্গে যৌথভাবে পাঁচটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এই জুটির অন্যতম একটি যৌথ কাজ হচ্ছে, ‘শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু’বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদ্যোপান্ত জীবন ইতিহাস এই গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয় এবং তথ্যপূর্ণ একটি প্রামাণ্য দলিল। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমুহের মধ্যে ‘শমসের গাজী’, ‘ক্ষ্যাপা খুঁজে ফেরে’, ‘বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী’(যৌথ), ‘বাংলাদেশে কমিউনিস্ট,’ ‘বাংলাদেশ কমনওয়েল যুদ্ধ সমাধি’(যৌথ),‘মুক্তিযুদ্ধের বীরগাথা’(যৌথ), ‘বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি’, ‘ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী চট্টগ্রাম’, ‘চট্টগ্রামের ভাষা আন্দোলন’ (যৌথ), ‘আবহমান চট্টগ্রাম কবি সাহিত্যিক ও তাদের সাহিত্যকর্ম’, ‘চট্টগ্রামের ভাষা সংগ্রামী’(যৌথ), ‘পলাশী থেকে ঢাকা’ (যৌথ),‘বাহান্নর ভাষা সংগ্রামী’ (যৌথ), ‘মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস চট্টগ্রাম জেলা’ইত্যাদি গ্রন্থগুলো বাংলার সংগ্রামী গণমানুষের ইতিকথা। এছাড়া বিভিন্ন গ্রন্থে তার অনেক লেখা সংকলিত আছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য– –বাংলা পিডিআর দুটো সংস্করণে ১৬ টি ভূক্তি রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণা জার্নালে চারটি, সাময়িকীতে প্রকাশিত রচনার সংখ্যা ১৬ টি, সংবাদপত্রে প্রকাশিত লেখার সংখ্যা ত্রিশটি। আরো ২১ টি বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। আনন্দের বিষয় এই যে তার কর্মসারথী স্ত্রী কবি রায়হান নাসরিন এসব প্রকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। স্ত্রী ভাগ্যে সৌভাগ্যবান ছিলেন আহমেদ মমতাজ। এই ক্ষেত্রে স্ত্রী রায়হান নাসরিনের কথা একটু বলতে হয়। রায়হান নাসরিন এশিয়াটিক সোসাইটির বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রকল্প (৯ম খণ্ড) ও বাংলা একাডেমির লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা প্রকল্পের চট্টগ্রাম জেলার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য মাঠ পর্যায়ের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তিনি মূলত লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা কাজে যুক্ত। স্বামীকে গবেষণার কাজে এগিয়ে দিতে তার মেধা আন্তরিকতা ও সততার কমতি ছিল না।

ব্যক্তি জীবনে আহমদ মমতাজ ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণবন্ত, সদালাপী, মৃদুভাষি, ন্যায়নিষ্ঠ ও উচ্চারণে সাহসী একজন মানুষ। বাংলা একাডেমিতে তার সহকর্মী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তার কাছের মানুষদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। এই ক্ষণজন্মা মানুষটি ৯ই মে ২০২১ তারিখে মাত্র ৬১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সাথে তার অপ্রকাশিত লেখা ও গবেষণা প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানাই। তথ্যসূত্র: বিভিন্ন গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ

লেখক: কবি, গল্পকার; সাবেক অধ্যক্ষ, মহিলা কলেজ চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঙালির বৈশাখ : অনন্য ও চির নতুন
পরবর্তী নিবন্ধজুম’আর খুতবা