সীতাকুণ্ডে পৌরসদরের পন্থিছিলা এলাকায় এক কিশোরকে গলা কেটে হত্যা করার পর তার ব্যাটারি রিকশাটি ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। গতকাল বুধবার সকালে ওই এলাকার একটি ডোবা থেকে চালক হাবিবুর রহমান জিহাদের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রিকশা ছিনতাইকারী দুজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। নিহত জিহাদ সন্দ্বীপ মুছাপুর এলকার মো. দিদারুল আলমের ছেলে। তবে সে বর্তমানে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের সোবহানবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। জিহাদ স্থানীয় জিনিয়াস স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সে দিনে পড়ালেখা করে, রাতে জীবিকার জন্য রিকশা চালায়।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে জিহাদ তার ব্যাটারি রিকশা নিয়ে বের হয়। রাতের কোনো এক সময়ে দুই ছিনতাকারী তার রিকশায় যাত্রী সেজে উঠে কৌশলে পৌরসদরের পন্থিছিলা কসাইখানা নামক একটি নির্জনস্থানে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে ডোবাতে ফেলে দেয় তাকে। পরে ব্যাটারি রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এদিকে কিশোর জিহাদ রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় তার মা–বাবা তার খোঁজ করতে থাকে।
এ ঘটনার পরদিন গতকাল বুধবার সকালে ছিনতাইকারীরা রক্তমাখা ব্যাটারি রিকশাটি ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় একটি গ্যারেজে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। তখন এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে জনতা দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে গণধোলাই দেয় এবং পুলিশে সৌপর্দ করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পন্থিছিলা এলালাকার ডোবা থেকে জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করে পুলিশ। আটককৃতরা হল সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের মো. সেলিমের ছেলে মো. রাজিব (২৫) এবং একই উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কান্তিরহাট গ্রামের মো. মানিক মিয়ার পুত্র বাপ্পি (২২)।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রিকশাচালক কিশোরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে জিহাদকে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সীতাকুণ্ড অটোরিকশা শ্রমিকদলের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।