মানব পাচার চক্রটিতে রয়েছে একাধিক সক্রিয় সদস্য। তাদের মূল টার্গেট গার্মেন্টসে কাজ করা কিশোরীরা। বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরির আড়ালে গার্মেন্টসে চাকরিরত মেয়েদের সাথে সখ্যতা তৈরী করে চক্রের সদস্যরা।
তাদের কেউ কিশোরীদের একত্রিত করত। কেউবা নিজেকে পরিচয় দেয় ভারতের কোন পার্লারের উচ্চ বেতনে চাকরিজীবী হিসাবে। এভাবের ভারতের পার্লারে লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করে দেয় বাংলাদেশী কিশোরীদের।
পুলিশের তৎপরতায় উন্মোচিত হলো চক্রটির এমন প্রতারণার কৌশল। সম্প্রতি পাচার হওয়া এক কিশোরী ভারত থেকে পালিয়ে আসার পর একে একে বেরিয়ে আসে অজানা সব তথ্য। উচ্চ বেতনে ভারতের পার্লারের চাকরির টোপ ফেলে কিশোরীদের পাচারে অভিযোগে মোঃ তারেক (৩৪) নামে সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ।
সোমবার (২৪ জুন) থানা সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে, গতকাল নগরীর চন্দ্রনগর এলাকার একটি বহুতল ভবনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার তারেক চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া এলাকার আহমদ ছাফার ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার তারেকের ডিজে পার্টি রয়েছে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকা সমূহে। সেখান থেকেই পরিচয় হয় মানব পাচার চক্রের সঙ্গে। দীর্ঘদিন ধরে উঠতি বয়সের কিশোরীদের সড়কপথে যশোর নিয়ে গিয়ে, সেখান থেকে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করে আসছেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক যুবক জানায়, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে নিয়ে কিশোরীদের পাচারে সংঘবদ্ধ চক্রের ভারতীয় সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন তার স্ত্রী। আর তার স্ত্রীর বান্ধবী চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরির আড়ালে গার্মেন্টসে চাকরিরত মেয়েদের সহিত সখ্যতা তৈরী করে।
পরবর্তীতে তাদের অধিক বেতনে ভারতে পার্লারে চাকরি দেওয়ার নাম করে কৌশলে তারেক ও তার স্ত্রীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরবর্তীতে তারাসহ অন্যান্য যশোরের অজ্ঞাতনামা সীমান্তে অবৈধ পথে ভারতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ভয়-ভীতি দেখিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করাতেন।
এ ব্যাপারে বায়েজিত বোস্তামি থানা ওসি সনজয় কুমার সিংহা জানান, ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী এক কিশোরী পুলিশকে অবহিত করলে চক্রটির খোঁজে মাঠে নেমে পড়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ।
অবশেষে রবিবার সাফল হয়েছি। এ ব্যাপারে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আটক যুবককে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।