বিতর্কিত কাশ্মীরের ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশে জি২০– এর আসন্ন এক বৈঠকে যোগ দেবে না বলে জানিয়েছে চীন। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন একথা জানান বলে খবর রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি’র। ওয়েনবিন এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিতর্কিত অঞ্চলে জি২০– এর যে কোনো ধরনের বৈঠকের দৃঢ় বিরোধিতা করছে চীন। এই ধরনের বৈঠকে আমরা অংশ নেবো না। চীনের পাশাপাশি সৌদি আরব ও তুরস্কও কাশ্মীরের এই বৈঠক বয়কট করছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সেপ্টেম্বরে নয়া দিল্লিতে হতে যাওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলন সংশ্লিষ্ট সিরিজ বৈঠকের অংশ হিসেবে সোমবার থেকে বুধবার কাশ্মীরের শ্রীনগরে হতে যাচ্ছে জি২০–এর পর্যটন বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিনদিনের এ বৈঠকে বিভিন্ন দেশের ৬০ জনের মতো প্রতিনিধি অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
কাশ্মীরে বৈঠক আয়োজন নিয়ে ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তান শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে। পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশই পুরো কাশ্মীরের মালিকানা দাবি করে আসছে, কিন্তু উভয়েই পৃথক পৃথক অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০১৯ সালে ভারত তাদের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত দুটি আলাদা প্রশাসনিক অঞ্চলে পরিণত করলে পাকিস্তান এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
বেইজিং ও নয়া দিল্লির মধ্যে কাশ্মীরসহ হিমালয়ের বিভিন্ন অঞ্চল নিয়েও বিরোধ আছে; এই সীমান্ত বিরোধকে ঘিরে বিভিন্ন সময় দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়েছে। উত্তেজনা নিরসনে দুই দেশের কর্মকর্তারা তিন বছরেরও বেশি সময় পর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিলেন।
জি৭ সম্মেলনে অংশ নিতে শুক্রবার জাপানের হিরোশিমায় গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তি হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। চীনের সঙ্গে স্বাভাবিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সীমান্ত এলাকাগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুবই জরুরি, টোকিওভিত্তিক গণমাধ্যম নিকেই এশিয়াকে এমনটাই বলেন মোদী। সঙ্গে এও জোর দিয়ে বলেন, ভারত তার সার্বভৌমত্ব আর মর্যাদা রক্ষায়ও প্রস্তুত।