নগরীর চান্দগাঁওয়ের কালুরঘাটে জুয়ার আসর ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালুরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার চারজন হলো মো. হাসান প্রকাশ জিকু (১৮), মো. রনি (২৬), মো. ওমর ফারুক (২৬) ও মো. বাদশা (৩৬)।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার নগরীর চান্দগাঁওয়ের কালুরঘাটে জুয়ার আসর ও মাদকব্যবসা নিয়ন্ত্রণের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে মো. হায়দার (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জয়নাল প্রতিক্ষের ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে রোববার সকালে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরে জুয়ার আসর ও মাদকব্যবসা নিয়ন্ত্রণের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পিংকি হিজড়ার স্বামী পারভেজকে একা পেয়ে ইস্কান্দর কলোনির মালিক ইস্কান্দরের তিন ছেলে রুবেল, শাম্মু ও শাকিল রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পারভেজের ওপর হামলার খবর পেয়ে তার ভাই এনায়েত ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিকেল চারটার দিকে ইস্কান্দরের কলোনিতে হামলা চালাতে যায়। সেখানে আগে থেকেই রামদা, হাতুড়ি নিয়ে অপেক্ষায় থাকা ইস্কান্দরের ছেলেরা হায়দার ও তার সহযোগীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও হায়দার পালাতে পারেনি। প্রতিপক্ষের লোকেরা তাকে একা পেয়ে ছুরি এবং হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মাথা থেতলে দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে হায়দার মারা যায়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈনুর রহমান আজাদীকে বলেন, হায়দার হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।