তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালুরঘাট ফেরিঘাটে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ফেরির দায়িত্বে থাকা মো. শাকিল (২৫) ও মো. সরোয়ার (২৭) আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কালুরঘাট ফেরিঘাটের পশ্চিম প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে গতকাল বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা থেকে বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, জহুরা বেগম নামে এক মহিলা কালুরঘাটের পূর্ব দিক থেকে ফেরিযোগে পশ্চিম দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মহিলাটি ফেরির সম্মুখে ছিলেন। পশ্চিম দিকে ফেরি ঘাটে আসলে মহিলাটিকে সতর্ক করে সরে যেতে বলেন ফেরির দায়িত্বে থাকা কর্মচারী সরোয়ার। এতে মহিলাটি ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়াবাড়ি করেন। এক পর্যায়ে তারা একে অপরকে জুতা দিয়ে মারতে থাকেন। পরে ওই মহিলাকে পশ্চিম দিকের ফেরিঘাটের অফিসের একটি রুমে বসতে বলে এবং তার স্বামীকে আসতে বলা হয়।
জহুরা বেগম বলেন, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ফেরিযোগে পার হওয়ার সময় সে ফেরিতে ছবি তুলে। এ সময় সরোয়ার এসে মেয়েকে থাপ্পর দেয় এবং ছবি তুলতে নিষেধ করে। এ কাজে সহযোগিতা করেন ফেরির দায়িত্বে থাকা আরেক কর্মচারী মো. শাকিল। এদের কর্মকাণ্ড দেখে আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমার গায়ে হাত তোলে। বিষয়টি আমি আমার স্বামী ও ছেলেকে জানালে তারা ফেরিঘাটে আসে। এ সময় আমার ছেলের সাথে হাতাহাতির এক পর্যায়ে মারামারি হয়। এ সময় তারা আমার স্বামীসহ অন্য একজনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
ফেরি কর্তৃপক্ষ জানায়, মহিলাটির ছেলে কাঠ দিয়ে সরোয়ারকে আঘাত করলে সাথে সাথে রক্ত বের হয়। এ সময় সে শাকিলকেও আঘাত করে। পরে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।