চট্টগ্রাম কালুরঘাট সেতুর রেলিং ভেঙে একটি চাঁদের গাড়ি (জিপ) নদীতে পড়ে গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তবে গাড়িটিতে চালকসহ কত জন যাত্রী ছিলো সে বিষয়টি কেউ জানাতে পারছেন না।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরামুল হক।
স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, রাত ২ টার দিকে বোয়ালখালী থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে একটি চাঁদের গাড়ি (জিপ) শহর অভিমুখে কালুরঘাট সেতু পার হচ্ছিলেন। কিন্তু কিছু দুর যেতেই টেম্পুটি একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। হঠাৎ রেলিং ভেঙে পানিতে পড়ে যায়।
এ দৃশ্য দেখে পথচারীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে তল্লাশি চালান। জানা গেছে এলাকার লোকজন দুজনকে উদ্ধার করে পাশের একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেতু পার হওয়ার সময় বেপরোয়া গতির কারণে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে পড়ে গেছে। গাড়িটিতে চালকসহ দুইজন যাত্রী ছিলেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারো পরিচয় জানা যায়নি। আবার এ তথ্যও কতটা সত্যতা নির্ভর করছে ভিডিও ফুটেজ কিংবা আহতদের জবানবন্দির উপর।
নৌ পুলিশের ওসি মো. একরামুল হক বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু পার হতে গিয়ে একটি গাড়ি নদীতে পড়ে গেছে শুনে তাৎক্ষণিক নৌ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।’
এ প্রসঙ্গে বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব অফিসার মো. সাইদুর রহমান জানান, ‘কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালী প্রান্ত থেকে নগর প্রান্তের উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি চাঁদের গাড়ি (জিপ) ডান পাশের রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। তবে দুইজনকে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। গাড়িটি নদীর প্রবল স্রোতে দূরে ভেসে গেছে। তবে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ আগস্ট কালুরঘাট সেতু সংস্কার শুরু করেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ এক বছর ধরে সংস্কার কাজের জন্য এই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। বর্তমানে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উপযোগী করতে কার্পেটিং করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নিয়ম না মেনে সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। ফলে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। একমুখী সেতুতে দুই প্রান্তের গাড়ি উঠে।